বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বিজিবির দমদমিয়া চেকপোস্টে এক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
বিজিবির প্রাথমিক ধারণা, আটকরা ‘ইয়াবা লেনদেনের’ টাকা বহন করে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছিল।
আটকরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকার মো. জালাল আহম্মেদের ছেলে মো. জুবায়ের (২৪) এবং একই ইউনিয়নের নয়াপাড়ার ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-ব্লকের বাসিন্দা মোক্তার আহম্মদের ছেলে নাজিম উল্লাহ (৩২)।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বিজিবির দমদমিয়া চেকপোস্টে এ অভিযান চালানো হয়েছে।
ফয়সল বলেন, সন্ধ্যায় বিজিবির দমদমিয়া চেকপোস্টে টেকনাফের দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশায় তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় গাড়ির চালকের বসার সিটের নিচে অভিনব কৌশলে লুকানো অবস্থায় একটি প্যাকেটের ভেতর সাতটি বান্ডিল পাওয়া যায়।
“বান্ডিলগুলো খুলে নগদ ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকা বাংলাদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়। টাকাগুলো অটোরিকশার চালক গাড়িতে থাকা এক রোহিঙ্গা যাত্রীর বলে বিজিবির সদস্যদের জানিয়েছেন।”
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, “গাড়িটির রোহিঙ্গা যাত্রী ও চালক জব্দ করা টাকাগুলো বহনের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
“কোনো উদ্বাস্তু নাগরিক এত টাকা বহন করতে পারে না।”
আর্থিক নীতিমালা বহির্ভূতভাবে রোহিঙ্গা নাগরিকের নগদ টাকা বহনের দায়ে তাদের দুইজনকে আটক করা হয়। টাকাগুলো বহন কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে বলেন তিনি।
বিজিবির প্রাথমিক ধারণা, জব্দ করা টাকা কোনো ইয়াবা কারবারি চক্রের লেনদেনের হতে পারে।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান বিজিবির টেকনাফের এ ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক।