ক্যাটাগরি

লাল-সবুজে আলোকিত যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় উচ্চতম ভবন

বুধবার লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, সোমবার রাতে লন্ডনের অভিজাত বাণিজ্যকেন্দ্র ক্যানারি ওয়ার্ফে অবস্থিত ‘ওয়ান
কানাডা স্কয়ারে’ এ আলোকসজ্জা করা হয়।

আয়োজনের উদ্বোধন করেন যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের
হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এবং ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী
স্যার জর্জ আইকোবেসকু।

এসময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত বাজানোর পাশাপাশি
উদ্বোধনী মঞ্চ এবং সংলগ্ন ফোয়ারায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙে এক আকর্ষণীয়
আবহ তৈরি করা হয়।

উদ্বোধনের পর হাই কমিশনার মুনা তাসনীম বলেন, “লন্ডনের ঐতিহাসিক
টাওয়ার হেমলেটসের ক্যানারি ওয়ার্ফে লাল-সবুজের বিশেষ আলোকসজ্জার উদ্বোধন করতে পেরে
আমি খুবই আনন্দিত।

“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৯ সালে তার ঐতিহাসিক
সফরসহ বেশ কয়েকবার লন্ডনের ঐতিহাসিক টাওয়ার হেমলেটস সফর করেছেন। এই টাওয়ার হেমলেটস
যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম ব্রিটিশ-বাংলাদেশি প্রবাসীদেরও আবাসস্থল।”

হাই কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে লন্ডন হাই কমিশনের উদ্যোগে ওয়েস্টমিনস্টার
অ্যাবে, টাওয়ার হেমলেটস মেয়রের অফিস ‘টাউন হল ’এবং ব্রমলে পাবলিক হলে বাংলাদেশের পতাকা
উড়ানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন
ক্ষেত্রে বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের
সাফল্য ও কৃতিত্বের প্রশংসা করেন ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যার জর্জ।

তিনি বাংলায় ঐতিহাসিক স্লোগান ‘জয় বাংলা’ দিয়ে ৭১-এর স্বাধীনতা
যুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাওয়ার্ড ডাওবার,
টাওয়ার হেমলেটস মেয়র জন বিগস, স্পিকার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আহবাব হোসেন এবং সংস্কৃতি
বিষয়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর সাবিনা আক্তার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

এর আগে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে
প্রখ্যাত ‘লন্ডন আই’ আলোকিত হয়েছিল লাল-সবুজের রঙে।