পরিবেশবাদী
সংগঠন পসিবল-এর ওই গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১২ শতাংশ মানুযষ মোট ফ্লাইটের
দুই তৃতীয়াংশ ব্যবহার করেন। অন্যান্য ধনী দেশের চিত্রও কমবেশি এক।
যুক্তরাষ্ট্র
সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি আকাশপথের এই নিয়মিত যাত্রীদের ওপর বাড়তি
কর আরোপের প্রস্তাব করেছে।
গবেষণায়
দেখা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্যের ৭০ শতাংশ ফ্লাইটে ভ্রমণ করেন মাত্র
১৫ শতাংশ যাত্রী, যাদের বেশিরভাগই ধনী। দেশটির ৫৭ শতাংশ জনগোষ্ঠী উড়োজাহাজে বিদেশ ভ্রমণই
করেন না।
এই নিয়মিত
ভ্রমণকারীদের ওপর একটি ‘ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লায়ার লেভি’- বসানোর দাবি প্রতি বছরই জোড়ালো
হচ্ছে।
পরিবেশবাদী
সংগঠন গ্রিনপিসও এ ধরনের করের দাবিতে সমর্থন দিচ্ছে। তারা ‘এয়ার মাইল’ সুবিধা নিষিদ্ধেরও
দাবি জানিয়েছে, কারণ তাদের মতে, এটা নিয়মিত উড়োজাহাজ ভ্রমণকে উৎসাহিত করে।
পসিবল-এর
গবেষণায় দেখা গেছে, কানাডার ২২ শতাংশ জনগোষ্ঠী দেশের ৭৩ শতাংশ ফ্লাইট ব্যবহার করে।
নেদারল্যান্ডসে মাত্র ৮ শতাংশ নাগরিক ব্যবহার করে ৪২ শতাংশ ফ্লাইট। চীনে মুষ্টিমেয়
৫ শতাংশ পরিবার ৪০ শতাংশ ফ্লাইটে চলাচল করে।
এছাড়া
ভারত ও ইন্দোনেশিয়ায় যথাক্রমে ১ ও ৩ শতাংশ জনগোষ্ঠী সেদেশের মোট ফ্লাইটের ৪৫ ও ৫৬ শতাংশ
ফ্লাইট ব্যবহার করে থাকে।
পসিবলের
কর্মকর্তা অ্যালেথেয়া ওয়ারিংটন বলেন, “এই গবেষণা প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের
সবখানেই বৈষম্যের এই চিত্রটি মোটামুটি একই- একটি নিয়মিত বিমান-ভ্রমণকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী
অন্যায্যভাবে আকাশপথে ভ্রমণের সিংহভাগ অংশ দখল করে আছে।
“দরিদ্রতম
জনগোষ্ঠী যেখানে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরূপ প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, সেখানে উচ্চমাত্রার
কার্বন নিঃসরণের সুবিধা নিচ্ছে মুষ্টিমেয় ধনী মানুষ। বিপুল সংখ্যক মানুষ বিমানে ভ্রমণ
করে থাকেন, কিন্তু এদের মধ্যে হাতেগোণা ভ্রমণকারীই নিয়মিত ভ্রমণ করছেন।”