বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর
মো. কামরুজ্জামানের কাছে আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্যর দিন ধার্য ছিল।
এদিন কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে বিচারক সাক্ষ্য না নিয়ে নতুন দিন ঠিক করেন বলে জানিয়েছেন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঞা।
এর আগে গত ১৪ মার্চ আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে
ন্যায়বিচার চান ২২ আসামি৷ পরে বিচারক সাফাই সাক্ষ্য জন্য ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল দিন ধার্য
করেছিলেন।
আবরার হত্যা মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
হয়েছে।
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের
দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার
কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।
আবরার ফাহাদ (ফাইল ছবি)
পরদিন ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে
চকবাজার থানায় মামলা করেন। পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা
পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন, তাতে আসামি করা
হয় মোট ২৫ জনকে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো.
কামরুজ্জামান গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে
বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
মামলার
আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ,
১৩তম ব্যাচ), সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), সাংগঠনিক সম্পাদক
মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা
সম্পাদক অনিক সরকার (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), বুয়েট ছাত্রলীগের
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ),
আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), মিজানুর রহমান (ওয়াটার
রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামসুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর
সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল), সাহিত্য সম্পাদক
মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক
মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি
মোশারফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি
(এমআই বিভাগ), সদস্য মুজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন
মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ,
১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুল
ইসলাম (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), খন্দকার
তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মাহমুদুল জিসান (ইইই বিভাগ,
১৬তম ব্যাচ), মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (এমই
বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ)।
আসামিদের মধ্যে এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল
জিসান এবং মুজতবা রাফিদ পলাতক রয়েছেন।