তাছাড়া তিনি আর জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ফেইসবুকে নিজের আইডি থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফেইসবুকে তিনি এক পোস্টে বলেন, “আমি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভবিষ্যতে কোনো জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না। ভবিষ্যতে আমি কোনো দলীয় পদ-পদবির দায়িত্ব নেব না।”
এর কিছুক্ষণ আগে তিনি ফেইসবুকে লাইভে এসে বলেন, “আমি সব অনিয়মকারীর বিরুদ্ধে কথা বলে এখন সবার কাছে খারাপ হয়ে গেছি। যে দলে সম্মান নাই সেখানে আমি থাকব না। আমি বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হয়েছি। সেখানে থেকেই কাজ করব।।”
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, “আপনি একসঙ্গে না পারলেও আস্তে আস্তে দলের দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে ধরুন। যারা বেশি অনিয়মকারী তাদের দল থেকে বের করে দিন।”
গত ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি আরও তিনবার মেয়র ছিলেন।
নির্বাচনের আগে দলীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেন কাদের মির্জা।
এরপর কাদের মির্জার সঙ্গে তার দলীয় বিরোধী পক্ষের সংঘর্ষে সংবাদিকসহ দুইজন নিহত হয়। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আদালতে।
পদত্যাগের বিষয়ে কাদের মির্জা সাংবাদিকদের বলেন, “আমাকে ছয়বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ আমার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। অপমান সহ্য করতে না পেরে আমি দল থেকে পতদ্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে তিনি এখনও লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম।
তিনি বলেন, “কাদের মির্জা দল থেকে পদত্যাগের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই জানাননি। ফেইসবুকে পদত্যাগের ঘোষণা তার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।”