উত্তর মিলবে বৃহস্পতিবার
অকল্যান্ডে। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ইডেন পার্কে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি
হবে বাংলাদেশ। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায়।
ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড
হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও এর মধ্যে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়
ম্যাচের কিছু সময়কে বাদ দিলে, সফরের পাঁচ ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনাও জাগাতে পারেননি তামিম
ইকবাল, মাহমুদউল্লাহরা। শেষ ম্যাচেও ব্যতিক্রম হওয়ার বাস্তব সম্ভাবনা সামান্যই।
কোনো ম্যাচেই নিজেদের সামর্থ্যের
প্রকাশ দেখাতে পারেনি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। অবশ্য টানা এরকম পারফরম্যান্স যখন দেখা
যায়, প্রশ্নবিদ্ধ হয় সামর্থ্যই!
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনসহ
শীর্ষ ৬-৭ জন ক্রিকেটার ছাড়াও প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারাতে খুব একটা
বেগ পেতে হয়নি কিউইদের। ব্যবধান তাই পরিষ্কার। এই কন্ডিশনে, এমনকি খর্বশক্তির নিউ জিল্যান্ডকে
হারানোর শক্তিও বাংলাদেশের নেই।
ভরসা তাই ক্রিকেটীয় অনিশ্চয়তা,
সঙ্গে নিজেদের ভালো দিন ও প্রতিপক্ষের বাজে দিনের সমীকরণ।
শেষ ম্যাচের আগের দিন বিসিবির
ভিডিও বার্তায় দলের প্রতিনিধি হয়ে যদিও সৌম্য সরকার শোনালেন আশার সেই চিরায়ত গান।
“অবশ্যই এখানে জেতা সম্ভব।
তবে আমরা যেভাবে খেলছি, হয়তো একদিন ব্যাটিংয়ে ভালো করছি, একদিন বোলিংয়ে…ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং,
তিনটিতেই একসঙ্গে ভালো করতে পারলে কাজটা সহজ হতো, জেতা সম্ভব হতো।”
“আর একটি ম্যাচই বাকি আছে
আমাদের। শেষ ম্যাচে যদি তিনটি বিভাগেই ভালো করতে পারি আমরা, তাহলে জেতা সম্ভব। সবশেষ
ম্যাচে আমাদের ফিল্ডিং অনেক ভালো ছিল। একটা-দুইটা ছোট ছোট ভুল হয়েছে, এসব যদি আমরা
না করি, তিনটি বিভাগে একসঙ্গে যদি ভালো করি, কালকে জিততে পারব।”
ইডেন পার্কের উইকেট বরাবরই
ব্যাটিং বান্ধব। সঙ্গে মাঠের আকার ছোট বলে এখানে রানের জোয়ার বয়ে যায় নিয়মিতই। এই ম্যাচে
অবশ্য চোখ রাঙাচ্ছে প্রকৃতি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও
বাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি।