সারাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
এর আগে রাঙামাটি থেকেই একই ধরণের ঘোষণা আসে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে পহেলা এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“এ সময় সারাদেশের মতো যানবাহনে সিট সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিতে পারবে। দুই আসনে একজন করে যেকোনো গণপরিবহণে মোট ৫০ ভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। এর পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
“এরপর করোনা পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
তবে আবাসিক হোটেল-মোটেল খোলা থাকবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক জানান, অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে হোটেলে অবস্থান করতে পারে। এ কারণে প্রত্যেক আবাসিক মোটেল-মোটেলেও যতটুকু আবাসনের ব্যবস্থা আছে তার অর্ধেক অতিথি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১ এপ্রিল থেকে সকল ধরণের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হলেও আগে থেকে অনুমোদন দেওয়া কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে সীমিত আকারে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে জানান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।
খাগড়াছড়ির সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা
বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিন জেলার সব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে উচ্চ মাত্রার করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের মতো খাগড়াছড়িতে রাত ১০ টার পর জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও পরিবহন ছাড়া সাধারণের চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে সভা সমাবেশও বন্ধ থাকবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্যবিধি পালনে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণার পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত চলবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, খাগড়াছড়ি পর্যটন এলাকা হওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তাছাড়া সাজেকও খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয়। তাই সংক্রমণ রোধে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
“জনস্বার্থে এবং নিজেদের স্বার্থে আপাতত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই উত্তম।”
গেল বছরের ১৮ মার্চ মহামারী প্রতিরোধে জেলায় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় ৫ মাস পর ২৮ অগাস্ট বিশেষ শর্তে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা হয়।