বুধবার নগরীর টাইগার পাসের অস্থায়ী নগর ভবনে সিটি মেয়রের সঙ্গে সৌজন্য
সাক্ষাতে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত জাঁ মারি সু।
এসময় মেয়র রেজাউল রাষ্ট্রদূতকে বলেন, “চট্টগ্রামকে ঘিরে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধির
নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। চট্টগ্রাম পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দর এবং
প্রাচ্য-প্রতীচ্য-পাশ্চাত্যের প্রবেশ দুয়ার। বৃহত্তর চট্টগ্রামে একই সাথে অনেকগুলো
মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের পথে। ফলে চট্টগ্রাম বহুমাত্রিক বিদেশি বিনিয়োগের উর্বর ভূমি
হিসেবে এখন বিশ্ব সমাদৃত।”
সিটি কর্পোরেশেনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্রান্সের সহযোগিতা চেয়ে মেয়র
রেজাউল বলেন, “ফ্রান্সের মত দেশের উন্নত প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া গেলে একটি ইতিবাচক
পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে। তাই এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প গ্রহণের জন্য ফ্রান্সের
প্রতি আহ্বান জানাই।”
দীর্ঘ ৫৫ বছর ধরে অলিয়স ফ্রঁসেস ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি কেন্দ্র থেকে সাহিত্য
ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে যে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তাতে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে
যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে বলেও মন্তব্য করেন মেয়র রেজাউল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বলেন, “চট্টগ্রামের সম্ভাব্যতার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের
সরকার মূল্যায়ন করে। চট্টগ্রামের বৈশ্বিক গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমাদের সরকারকে
এখানে বিনিয়োগ করতে কতটুকু এবং কিভাবে আগ্রহী করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক প্রয়াস
অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট হব।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রধান রাজস্ব
কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য
কর্মকর্তা সেলিম আখতার চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, অলিয়স ফ্রসেঁস এর পরিচালক সেলভাম তোরেজ
ও গুরুপদ চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।