ক্যাটাগরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদ নেত্রকোণায়

নেত্রকোণার কেন্দুয়া
প্রেসক্লাবের আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।

মানবন্ধনে কেন্দুয়া
প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী চৌধুরী কাজল, সাংবাদিক
রাখাল বিশ্বাস, আশরাফ উদ্দিন ভূঞা, স্থানীয় রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি আবুল কাশেম
আকন্দ, সাংবাদিক মজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আব্দুল কাদির তার
বক্তব্যে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব ভাঙচুরসহ সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মারধরের
ঘটনায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

হামলাকারীরা বেছে বেছে
মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তবুদ্ধির চর্চাকেন্দ্রগুলো, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোতে হামলা
চালিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

এই ধর্মান্ধগোষ্ঠী
সরকারি স্থাপনায়ও হামলা চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এরা দেশকে অন্ধকারে ঠেলে
দিতে চায়।”

এদের প্রতিরোধে
ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানান।

প্রেসক্লাবের সামনে
অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম
সমর্থকরা। শুক্রবার, শনিবার ও রোববার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চট্টগ্রামে
চারজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত সাতজন নিহত হন। 

এই সময় হামলাকারীরা তিন
দিন ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। তারা প্রেসক্লাবে ভাংচুর ও
সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া
রেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করে, শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি মন্দির, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,
জেলা শিল্পকলা একাডেমি, পৌরসভা কার্যালয়, সদর উপজেলা ভূমি
অফিস, আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদকের কার্যালয় ও বাড়ি, জেলা পরিষদ কার্যালয়,
আশুগঞ্জ টোল প্লাজা, খাটিহাতা বিশ্বরোড হাইওয়ে থানাসহ অসংখ্য স্থানে হামলা চালায়।