কাদামাটির এক মিটার (৩ দশমিক ৩ ফুট) নিচে এ রেকর্ডারটি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এটি থেকে তথ্য উদ্ধার করতে সপ্তাহখানেক সময় লেগে যাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
বিমানের ‘ব্ল্যাকবক্স’ থেকে পাওয়া তথ্য দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র দিতে পারে, কর্তৃপক্ষ এখন এমনটাই আশা করছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
৯ জানুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কয়েক মিনিট পর ফ্লাইট এসজে১৮২ বিমানটি লাকি দ্বীপের কাছে জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হয়, মৃত্যু হয় ৬২ আরোহীর সবার।
শ্রীবিজয়া এয়ারের এ বিমানটির গন্তব্য ছিল ওয়েস্ট কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পনতিয়ানাক। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
১৩০ আরোহী ধারণক্ষমতার বিমানটি সেদিন ৫০ যাত্রী ও ১২ ক্রু নিয়েই উড়াল দিয়েছিল। আরোহীদের সবাই ছিল ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক।
দুর্ঘটনার কয়েকদিন পর উদ্ধারকর্মীরা যে রেকর্ডারে ফ্লাইট ডাটা সংরক্ষিত থাকে সেটি পেলেও তা থেকে বিমানটি কিভাবে সাগরে আছড়ে পড়েছিল সে সম্বন্ধে পর্যাপ্ত তথ্য মেলেনি।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে বিমানটির ইঞ্জিনে সমস্যাকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিনের কারণে বিমানটি আকাশে চক্কর খায় এবং শেষ পর্যন্ত সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
ডুবুরিরা পরে বিমানটির একটি বিধ্বস্ত পাখার ব্লেড পান, যা দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি সমুদ্রে আছড়ে পড়ার সময়ও সচল ছিল এবং মাঝ আকাশে বিধ্বস্ত হয়নি বলে ইঙ্গিত দেয়।