ওজন কমাতে না খেয়ে নয় বরং উপযুক্ত খাবার
খেয়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হয়।
অনেকেই রাতে কম খেয়ে দেহের বাড়তি ওজন
কমানোর চেষ্টা করেন। যা বেশিরভাগ সময় কার্যকর হয় না। কারণ পরে ক্ষুধা লাগে। যে কারণে
বেশি খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা বাড়ে।
এই সমস্যা এড়াতে কম কার্বোহাইড্রেইট সমৃদ্ধ
শস্য বেছে নেওয়া উপকারী।
পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত
প্রতিবেদন অবলম্বনে রাতে যেসব শস্য খাওয়া ওজন কমাতে সহায়তা করে সে সম্পর্কে জানানো
হল।
ওটস: ওটস বেটা-গ্লুকেন
নামক আঁশ সমৃদ্ধ। এটা প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ওটস
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা ‘অ্যাভিনানথ্রামাইড’ হিসেবে পরিচিত। এটা হৃদপিণ্ড সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত পুষ্টিবিদেরা ওজন কমাতে চাইলে এই শস্য খাওয়ার পরামর্শ দেন।
বার্লি: উচ্চ
আঁশ সমৃদ্ধ যা হজমে সাহায্য করে ও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। বার্লিতে থাকা
বিটা গ্লুকোন্স পিত্তের অ্যাসিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘খারাপ’ এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমায়। এছাড়াও, এটা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে ও ইন্সুলিনের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য
করে।
ভুট্টা: ভুট্টা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এতে ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। ভুট্টাতে
ক্যালরির পরিমাণ কম। তাই ক্ষুধার্ত অবস্থায় যেকোনো সময়েই এটা খাওয়া যেতে পারে।
রাতের খাবারে সহজেই ভুট্টার চাট তৈরি
করা যেতে পারে।
ভুট্টা সিদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে একটা বাটিতে
সংরক্ষণ করুন। এরপর পেয়াঁজ কুচি, শসা ও টমেটো যোগ করে নিন। স্বাদ বাড়াতে লবণ, কালো
গোলমরিচ, চাট মসলা মিশিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।
বাদামি চাল:
ভাত খেতে পছন্দ করে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। আর আপনি ভাত একেবারেই বাদ দিতে
না পারেন তবে বাদামি চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করা ভালো।
সাদা চালের তুলনায় বাদামি চাল কম স্টার্চ
সমৃদ্ধ। এতে আছে ফাইটিক অ্যাসিড ও পলিফেনল যা রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
রাতের খাবার হিসেবে অল্প পরিমাণে বাদামি
চাল সবজির তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
আরও পড়ুন