ক্যাটাগরি

স্পেসএক্সের প্রথম ‘সব বেসামরিক’ মহাকাশযানের ৪ আসন পূর্ণ

এ ক্রুদের নিয়েই ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল চলতি বছরের দ্বিতীয় ভাগে পৃথিবীর কক্ষপক্ষে যাওয়ার পরিকল্পনা আঁটছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সোমবার ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বশেষ দুই ‘নাগরিক নভোচারীকে’ পরিচয় করিয়ে দেন স্পেসএক্সের হিউম্যান স্পেসফ্লাইটের প্রধান বেনজি রিড ও বিলিয়নেয়ার উদ্যোক্তা জ্যারেড আইজ্যাকম্যান।

দাতব্য কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে আইজ্যাকম্যানই স্পেসএক্সের এ ‘অল-সিভিলিয়ান’ মিশনের খরচ দিচ্ছেন। স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুলে তাকেসহ ৪ জনকে পৃথিবীর কক্ষপথে নিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান শিফট ফোর পেমেন্টসের এ প্রতিষ্ঠাতা স্পেসএক্সের মাস্ককে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এ অর্থের পরিমাণ প্রকাশ করা হয়নি।

স্পেসএক্সের এ ফ্লাইটটি ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে রওনা হচ্ছে না; উড্ডয়ন থেকে শুরু করে পৃথিবীতে ফিরে আসা পর্যন্ত এ ‘সব বেসামরিক’ মিশনের ক্রুদের তিন থেকে চার দিন লাগতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

‘ইনস্পিরেশন ৪’ নামের এই মিশন সাজানো হয়েছে মূলত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় পেডিয়াট্রিক ক্যান্সার সেন্টার সেইন্ট জুড চিলড্রেন রিসার্চ হসপিটালের প্রচারণা ও তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে। আইজ্যাকম্যান নিজেই এ প্রতিষ্ঠানে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

স্পেসএক্সের এ ‘সব বেসামরিক’ মিশনে আইজ্যাকম্যানই ‘কমান্ডারের’ দায়িত্বে থাকছেন; তার সঙ্গে ক্রু হিসেবে থাকছেন সেইন্ট জুড হাসপাতালের ২৯ বছর বয়সী সহকারী চিকিৎসক হেলি আর্সেনো।

১০ বছর বয়সে হাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আর্সেনো। চিকিৎসার জন্য তার পায়ের কিছু হাড় টাইটেনিয়াম দিয়ে বদলানো হয়। টেনেসিভিত্তিক হাসপাতাল সেইন্ট জুডেই চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে ওই একই হাসপাতালে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করছেন।

আসন্ন মহাকাশ অভিযান সফল হলে তিনি হবেন কৃত্রিম অঙ্গ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি জমানো প্রথম ব্যক্তি।

মঙ্গলবার নতুন যে দুই ক্রু’র নাম ঘোষিত হয়েছে তার মধ্যে আছেন ৪১ বছর বয়সী ক্রিস সেমব্রাওস্কি। সিয়াটলের মহাশূন্য খাতের কর্মচারী ও মার্কিন বিমানবাহিনীর সাবেক এ সদস্যকে ৭২ হাজার আবেদনপত্র থেকে বাছাই করে নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় আবেদনপত্রের সঙ্গে সেইন্ট জুডের তহবিলে অর্থ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল; এতে ১১ কোটি ৩০ লাখ ডলার উঠেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

অ্যাইজ্যাকম্যান, আর্সেনো আর সেমব্রাওস্কির সঙ্গী হচ্ছেন অ্যারিজোনার ফিনিক্সের সাউথ মাউন্টেইন কমিউনিটি কলেজের ভূ-বিজ্ঞানের অধ্যাপক ৫১ বছর বয়সী সান প্রক্টর। এক সময় নাসার নভোচারী হওয়ার জন্য আবেদন করা এ উদ্যোক্তাকে শিফট ফোর পেমেন্টসের পরিচালিত একটি অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছে।

এ চারজনকেই এখন স্পেসএক্সের মিশনের প্রস্তুতি হিসেবে নাসার নভোচারীরা যে পাঠ্যক্রম অনুসরণ করেন সে অনুযায়ী ব্যাপক প্রশিক্ষণের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।