বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদে ইডিইউর ক্যাম্পাস পরিদর্শনে যান তিনি।
এসময় ইডিইউর তিনটি সেমিস্টারে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত জাঁ-মারি সু বলেন, “বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় ফ্রান্স দীর্ঘদিনের সারথি। ফ্রান্সের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা অর্জনে যাচ্ছে এবং ফিরে এসে তারা দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইন্ডাস্ট্রিতে অবদান রাখছে।”
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, “উচ্চশিক্ষায় ফ্রান্স বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশগুলোর একটি। শতাব্দী প্রাচীন বিদ্যাপীঠগুলো সভ্যতার উৎকর্ষে ভূমিকা রেখে চলেছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যোগাযোগ ইডিইউ তথা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করবে।
“ইডিইউ সবসময়ই শিক্ষার্থীদের দেশের গণ্ডি থেকে বের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করে তুলতে সচেষ্ট। এক্ষেত্রে আমরা ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ এক্সপেরিয়েন্স নামের একটি কোর্স চালু করেছি, যেখানে শিক্ষার্থীদের আমরা বিশ্বের উন্নত শহরগুলোয় নিয়ে যাচ্ছি। এই কোর্সের পরবর্তী গন্তব্য হতে পারে ফ্রান্সের প্যারিসও।”
পরিদর্শনকালে করোনা সংক্রমণের সময়ে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও পাঠদানে নতুনত্ব এনে ইডিইউ তে ক্লাস চালু রাখার বিষয়টির প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত।
জাঁ মারি সু বলেন, “বৈশ্বিক জ্ঞানের চর্চায় স্থানিক দূরত্ব বর্তমানে আর নেই। অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইডিইউ ও ফ্রান্সের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একইসাথে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারবে।”
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, আলিয়স ফ্রঁসেজ চট্টগ্রামের ডিরেক্টর ড. সেলভাম থোরেজ, ডেপুটি ডিরেক্টর ড. গুরুপদ চক্রবর্তী, ইডিইউর তিন অ্যাসোসিয়েট ডিন (স্কুল অব লিবারেল আর্টস) শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, (স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়) ড. মো. নাজিম উদ্দিন ও (স্কুল অব বিজনেস) ড. মো. রকিবুল কবির প্রমুখ।
সম্মাননা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন – নিসর্গ নিগার, মাইশা ফাইরুজ আহমেদ, আফসানা আকতার, সামিনা আরেফিন, জান্নাতুল মাওয়া, ফাহরিন ফাইজা খান, সাদিয়া আফরিন, মোহাম্মদ হাসান ইমাম, সাদিয়া করিম, আলম মো. শাহরুপ চৌধুরী, নকিব হায়দার, কিফায়েত কামাল, সাদিয়া সুলতানা মাইশা, জুনাইত কাদের, মণীষা মর্তুজা রুদমিলা, ওয়ারদা হাবিবা ও সাহেরা আফরোজ দিনা।