ক্যাটাগরি

মিয়ানমারে সেনারা ৪৩ শিশুকে হত্যা করেছে: সেইভ দ্য চিলড্রেন

গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি ‘দুঃস্বপ্নের পরিস্থিতিতে’ আছে এবং সেখানে নিহত সবচেয়ে অল্প বয়সী শিশুটির বয়স মাত্র সাত বছর।

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলনে মোট নিহতের সংখ্যা ৫৩৬ বলে স্থানীয় পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স জানিয়েছে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহে কেবল শনিবারই ১৪১ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে তারা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সশস্ত্র বাহিনী রাস্তায় লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়েছে আর কিছু লোক তাদের নিজ বাড়িতেই নিহত হয়েছেন। 

সাত বছরের যে শিশু বালিকা নিহত হয়েছে তার পরিবার বিবিসিকে বলেছে, মার্চের শেষ দিকে তাদের মান্দালয় শহরের বাড়িতে অভিযান চলাকালে বাবার দিকে দৌঁড়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে খিন মিয়ো চিট মারা যায়।

তার বোন মে থু সুমায়া (২৫) বলেন, “তারা দরজা খোলার জন্য লাথি মারে। দরজা খুলে যাওয়ার পর তারা আমার বাবাকে জিজ্ঞেস করে বাড়িতে অন্য কোনো লোক আছে কিনা। ‘না’ বলার পর তিনি মিথ্যা বলছেন অভিযোগ করে তারা বাড়ি তল্লাশি শুরু করে।

“এই সময় খিন মিয়ো চিট বাবার দিকে দৌঁড়ে যায়। তখনই তারা গুলি করে আর তা ওর গায়ে লাগে।”

নিহতদের মধ্যে ১৪ বছর বয়সী একজন বালক মান্দালয়ে ওদের বাড়ির ভিতরে বা কাছে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয় বলে সবার ধারণা। ইয়াঙ্গনে রাস্তায় খেলার সময় ১৩ বছর বয়সী আরেক বালক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

সংঘর্ষে আহত শিশুদের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হবে বলে সতর্ক করেছে সেইভ দ্য চিলড্রেন। একটি ঘটনায় এক বছর বয়সী একটি শিশু চোখে রবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে।

সহিংসতার কারণে শিশুরা ভয়, শোক ও চাপে ভোগায় তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীটি।

“শিশুরা সহিংসতা ও ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করছে। মিয়ানমার আর শিশুদের জন্য নিরাপদ স্থান নয় এটি পরিষ্কার,” এক বিবৃতিতে বলেছে তারা।       

এদিকে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমনপীড়নের মাত্রা বাড়ানোর ফলে দেশটিতে ‘রক্তবন্যা আসন্ন’ বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা শানার।