বৃহস্পতিবার
দুপুরে ফেনীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল আহসান এই সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি
প্রকাশ করেছেন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়, শুক্রবার [২ এপ্রিল] থেকে আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ফেনীর দর্শনীয় স্থান,
বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন হলসহ যাবতীয় জনসমাগম বন্ধ থাকবে।
এই আদেশ
অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে ফেনী জেলা প্রশসান
থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করোনাকালীন নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধও জানানো হয়।
এর আগে
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে গত ৩১ মার্চ বুধবার থেকে ফেনীতে চলমান শিল্প
ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
ফেনীর ভারপ্রাপ্ত
সিভিল সার্জন এস এম সোহেল রানা জানান, গত কয়েক দিন ফেনীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার
ঊর্ধ্বগতি। বুধবার ফেনীতে ৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এদিন
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির দেশের জেলাগুলোর মধ্যে ফেনীর অবস্থান ছিল দশম। এর আগে ৩০
মার্চ ১৫৫ নমুনায় ৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। গত এক সপ্তাহে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে
দুই জন মারা গেছেন।
ডা. সোহেল
রানা আরও জানান, সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। তা না
হলে সামনে চিত্র আরও ভয়াবহ হতে পারে।
এদিকে,
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে থাকা ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান,
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)
হুমায়রা ইসলামের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
ইতিমধ্যে
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অবনতির কারণে আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভাসহ
একাধিক পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনসহ সব নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন
কমিশন।