এর আগে বাইডেনের অবকাঠামোবিষয়ক পরিকল্পনায় উঠে এসেছে কর্পোরেট করের হার ২১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৮ শতাংশে নেওয়ার বিষয়টি। এ ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কর আইন সংশোধন করে এর ফাঁকফোকর বন্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের লাভের অর্থ অন্য দেশে সরিয়ে নিতে না পারে। এ বিষয়ে ২৫ পাতার এক ব্রিফিং বুধবার হোয়াইড হাউস প্রকাশ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
বাইডেন বলেন, আমাজন ৯১টি ফরচুন ৫০০ প্রতিষ্ঠনের অন্যতম যারা ফেডারেল আয়করের বিভিন্ন ফোঁকফোকর ব্যবহার করার মাধ্যমে এক ডলারও কর দেয় না। এর বিপরীতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে শতকরা ২০ ভাগ কর দিতে হয়।
“আমি এজন্য তাদের শাস্তি দিতে চাই না তবে এটা ঠিক নয়।”
জবাবে অবশ্য অ্যামাজনের এক মুখপাত্র মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তার ‘সাবেক বসে’র সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ছিলেন জে কার্নেই। তিনি সম্প্রতি এক টুইটে বলেন, “গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে ব্যায়কে করের বাইরে রাখা যদি আইনের ফাঁক হয়েই থাকে তাহলে বলতেই হবে কংগ্রেস এই ফাঁকটি দৃঢ়ভাবে চেয়েছিল। এই নিয়মের প্রবর্তন হয় ১৯৮১ সালে এবং এর পর ১৫ বার দুই দলের সমর্থন নিয়েই এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং সর্বশেষ এটি ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে স্থায়ী আইনে পরিণত হয়।”
ওবামার সাবেক প্রেস সেক্রেটারি জে কার্নেই এখন কাজ করেন অ্যামাজনে। তিনি প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সে বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সরাসরি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জেফ বেজোসের অধীনে কাজ করেন।
দুই বছরের জন্য শূন্য ডলার কর প্রদানের পর অ্যামাজন ২০১৯ সালে এসে ফেডারেল কর দিতে শুরু করে।
বাইডেন এই প্রথম অ্যামাজনের বিরুদ্ধে কথা বললেন, এমন নয়। ২০১৯ সালের জুন মাসে তিনি অ্যামাজনের নাম উল্লেখ করেই বলেন, “কোনো প্রতিষ্ঠান বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামাই করবে আর করের বেলায় দমকল কর্মী বা শিক্ষকদের চেয়ে কম কর দেবে, এটা হতে পারে না।”