আবু তাহের (২৮) নামের
এই যুবক রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়াপালং নয়াপাড়ার বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে।
তাহের ও তার বাবার
বিরুদ্ধে যৌতুক দাবিরও অভিযোগ করেছেন ওই গৃহবধূ।
পুলিশ বলছে, এই ঘটনায়
একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে। বিষয়টি সামাজিকভাবে
মীমাংসা করা যায় কিনা তার জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বাদী মামলা করতে রাজি
থাকলে অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হবে বলে জানান রামু থানার ওসি মোহাম্মদ আজমিরুজ্জামান।
ওই গৃহবধূ বলেন, আবু
তাহেরের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে তার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের মেয়ের জন্ম হয়।
বিয়ের ৩/৪ বছর পর থেকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য
আবু তাহের চাপ দিচ্ছিল। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাহের বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে
শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছেন।
“এরই মধ্যে আমার দ্বিতীয়বারও
মেয়ে হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে খবর শুনে আমার বাবা-মা স্বামীর
বাড়ি এলে তাদেরও মারধর করা হয়। এতে আমার নবজাতক সন্তানও নাক ও নাভিতে আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত
হয়েছে।”
তার কাছে যৌতুক দাবিতে
তাহেরের বাবার ইন্ধন রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করছেন।
এই ঘটনায় গত সোমবার
(২৯ মার্চ) তিনি বাদী হয়ে স্বামী ও তার শ্বশুরকে আসামি করে রামু থানায় অভিযোগ দায়ের
করেছেন।
রামু থানার ওসি মোহাম্মদ
আজমিরুজ্জামান বলেন, ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ঘটনাটি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ
নিয়ে।
“এই ধরনের ঘটনার আগের
অভিজ্ঞতা থেকে উভয়পক্ষকে সামাজিকভাবে মীমাংসা করা যায় কিনা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার
জন্য আপাতত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
অনেক সময় দেখা যায়,
মামলা নথিভুক্ত করা হয় কিন্তু পরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে যায়, বলেন ওসি।
তারপরও বাদী সম্মতি
প্রকাশ করলে মামলা নথিভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।