বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত
হয়।
২০০৮ সালে দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু
করে ইসি। ২০২০ সালের মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) মেনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো
সব স্তরে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে
জানিয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোকে চিঠি দেওয়ার
সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু দলগুলো সব শেষ অগ্রগতি ইসিকে জানায়নি। এখন কী অবস্থায় রয়েছে
তা জানতে দলগুলোকে চিঠি দেওয়া হবে।”
বিদ্যমান আরপিওর মধ্যে নারী প্রতিনিধিত্ব
নিয়ে আইন সংস্কার উদ্যোগের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত এলো।
আরপিওর ৯০ খ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয়
কমিটির সব দলের সব স্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে ২০২০ সাল লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এখন ইসিতে ৪০টি নিবন্ধিত দল রয়েছে। কিন্তু ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্বের
শর্ত কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
গণফ্রন্ট ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট নামের
ছোট দুটি দল তাদের সব কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধি রাখার দাবি করলেও তা যাচাই করেনি
নির্বাচন কমিশন।
এ বাস্তবতায় আইন সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক
দলগুলোর মত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও সময় দেওয়ারও প্রস্তাব
আসে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সুপারিশ অনুযায়ী
শর্তপূরণে আরও ১০ বছর সময় দিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবনা ভেটিংয়ের
জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
দ্বৈত
ভোটার যাচাই করতে কমিটি
বিদ্যমান ভোটার তালিকায় দ্বৈত ভোটারদের
ঢালাও মামলা না দিয়ে উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করে শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা
দেওয়া হয়েছে বৃহস্পতিবার কমিশন সভায়।
অশোক কুমার বলেন, “মামলা দেওয়ার আগে
কমিটিতে পর্যালোচনা করা হবে। ঢালাও মামলা দেওয়া হবে না; যাচাই-বাছাই করা হবে।”
তিনি জানান, দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি উপজেলা
পর্যায়ে কমিটিতে পর্যালোচনা ও শুনানি করে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।