কৃষি
কর্মকর্তারাও মনে করছেন, এ তরমুজ বেচে অন্তত পাঁচ কোটি আয় করবে করবেন চাষিরা।
সোনাগাজী
উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট সংলগ্ন চর সোনাপুর থেকে পাকা তরমুজ কার্ভাডভ্যানে করে
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠানো শুরু হয়ে গেছে।
সোনাগাজী
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার জানান, উর্বর দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ
মাটি তরমুজ চাষের জন্য সবচেয়ে উত্তম। এই এলাকার মাটি তরমুজ চাষের উপযোগী। সে জন্যই
ভালো ফলন হয়েছে।
“চলতি
মৌসুমে এ চরের আড়াইশ একর জমি থেকে নূন্যতম পাঁচ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি করতে
পারবেন বলে কৃষকরা আশা করা যাচ্ছে।”
স্থানীয়
তরমুজ চাষি হাজী মাবুল হক বলেন, গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের চাষা বেড়েছে,
আল্লাহর রহমতে ফলনও হয়েছে ভালো।
চাষি
ওলি উদ্দিন জানান, ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ১০ জন কৃষক মিলে ৮০ একর জমিতে তারা
তরমুজের চাষাবাদ করেছিলেন। ইতোমধ্যেই ৫৫ লাখ টাকার তরমুজ তারা বিক্রি করেছেন। আরও
আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার তরমুজ মাঠে আছে তাদের।
স্থানীয়
কৃষক মজিবুল হক বলেন, তিনি ১৪ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ঠিক মতো সেচের পানি
পাওয়ায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। দামও পেয়েছেন ভালো।
এদিকে
চট্টগ্রাম থেকে তরমুজ ব্যাপারী আমির হোসেন জানান, তিনি ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় ২০
একর জমির তরমুজ কিনেছেন। এসব তরমুজ চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার, সাতকানিয়া,
লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করছেন।
নোয়াখালীর
সুবর্ণচর থেকে আসা তরমুজের ব্যাপারী জসিম উদ্দিন বলেন, এ চরের তরমুজ অন্য এলাকার
তরমুজের চাইতে গুণে-মানে অনেক ভালো।
তিনি
২২ লাখ টাকায় এখানকার ২০ একর জমির তরমুজ কিনেছেন। পরিবহনসহ সব খরচ মিলিয়ে এ তরমুজ
৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করবেন।
কৃষি
কর্মকর্তা সাজ্জাদ আরও জানান, তরমুজের পাশাপাশি এ চরে নিয়মিত মরিচ, খেসারী, ক্ষীরা,
বেলি, মুগ ডাল, শিমসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ হচ্ছে।