কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চতুর্থ ও শেষ দিন ৩৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মেট্রো ২ উইকেটে ১৪৮ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল।
প্রথম রাউন্ডে রাজশাহীর বিপক্ষে জিতেছিল চট্টগ্রাম। আর মেট্রো হারিয়েছিল বরিশাল বিভাগকে।
প্রথম রাউন্ডের পর এবারও কোনো ইনিংসেই ১৫ পর্যন্ত যেতে পারেননি মুমিনুল। চার ইনিংস মিলিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের মোট রান ৪৩। সর্বোচ্চ ১৩।
শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এক নম্বর মাঠের উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কোনো সুবিধা ছিল না। ১ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাটিংয়ে নামে চট্টগ্রাম। এ দিন আরও ১৯১ রান যোগ করে ৬ উইকেটে ২৩৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। প্রথম ইনিংসে দলটি এগিয়ে ছিল ১৩৫ রানে।
১৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা সাদিকুর রহমানকে ফিফটির আগেই থামান মানিক খান। ২০ রানে ব্যাটিং শুরু করা মাহমুদুল হাসান জয় তুলে নেন ফিফটি, ৮৩ বলে।
এর আগেই বিদায় নেন মুমিনুল। অফ স্পিনার শরিফউল্লাহর বলে স্টাম্পড হন তিনি। ১৯ বলে করেন ১৩ রান। সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা মাহমুদুল ৭৮ রানে কাটা পড়েন রান আউটে। তার ১০২ বলের ইনিংস সাজানো ৩টি করে চার ও ছক্কায়।
প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রান করা পিনাক ঘোষ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এরপর ইয়াসির আলি চৌধুরি ও শাহাদাত হোসেনের ব্যাটে রান আসতে থাকতে দ্রুত। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ রান করেন ইয়াসির। সাত নম্বরে নেমে ১২ বলে ১৮ রান করেন ইরফান শুক্কুর। তিনি ফেরার একটু পরই ইনিংস ঘোষণা করে চট্টগ্রাম। ১৭ বলে ২ ছক্কা ও এক চারে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা শাহাদাত।
দুই সেশন বাকি থাকতে প্রায় পৌনে চারশ রান তাড়া করে জয়ের বাস্তব সম্ভাবনা মেট্রোর ছিল না। প্রথম ইনিংসে দুই অঙ্কে যেতে ব্যর্থ আজমির আহমেদ এবার ভাঙেন বৃত্ত। জাহিদুজ্জামানের সঙ্গে গড়েন ৯৩ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৩ রানের জন্য অবশ্য ফিফটি পাননি তিনি। ৮৯ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৭ রানে আউট হন মেহেদি হাসান রানার বলে।
জাহিদুজ্জামান টানা দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নেন ফিফটি। প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা শামসুর রহমান এবার থিতু হয়ে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬৬ বলে করেন ২৩। তাকে ফিরিয়ে ম্যাচে ষষ্ঠ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ।
জাহিদুজ্জামান ১১২ বলে ৯ চারে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন মার্শাল আইয়ুব।
প্রথম ইনিংসে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলা চট্টগ্রামের পিনাক ঘোষ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৪০২/৮ ইনিংস ঘোষণা
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ১০৭.২ ওভারে ২৬৭
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: ৪৮ ওভারে ২৩৪/৬ ইনিংস ঘোষণা (আগের দিন ৪৩/১) (সাদিকুর ৪৭, মাহমুদুল ৭৮, মুমিনুল ১৩, ইয়াসির ৩৯, শাহদাত ২৮*, শুক্কুর ১৮, নাঈম ৪*; শহিদুল ১৩-১-৬৫-১, মানিক ১১-২-৪৩-১, শরিফুল্লাহ ২০-১-৯৪-২, আল আমিন ১-০-৬-০, আরাফাত সানী ৩-০-২৩-০)
ঢাকা মেট্রো ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩৭০) ৫০ ওভারে ১৪৮/২ (আজমির ৪৭, জাহিদুজ্জামান ৬১*, শামসুর ২৩, মার্শাল ৮*,; মেহেদি রানা ১১-১-৩৯-১, ইফরান ৪-০-১৬-০, মুরাদ ২০-৬-৪২-১, নাঈম ১০-৪-৩০-০, মুমিনুল ৫-১-১৩-০)
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: পিনাক ঘোষ।