বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে
ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে
পুলিশের মহা পরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদ এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের সম্পত্তি উল্লেখ
করে তিনি বলেন, এখানে কেন হামলা করা হল সেটা আমার বোধগম্য নয়।
“ভূমি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে দেড়-দুইশ বছরের পুরনো
রেকর্ডস (দলিলপত্র) রয়েছে। ফলে ভূমি অফিসের আওতায় বসবাসকারীরা আগামী অন্তত ৫০ বছর
কষ্ট ভোগ করবেন।”
পুলিশের মহা পরিদর্শক বলেন, এসব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে মাদ্রাসা
পড়ুয়া কোমলমতি ছেলেদের। অল্প বয়সী ছেলেদেরকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় ও সাধারণ মানুষের প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা
হচ্ছে—যা অত্যন্ত অমানবিক।”
ড. বেনজির বলেন, রাজনীতি করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু ধ্বংস কেন?
দেশ আমাদের সবার। দেশের সম্পদ ধ্বংস করে রাজনীতি করবেন কীভাবে?
দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগে হুজুররা
রিকশায় যেতে পারতেন না। এখন বড় হুজুরদের গাড়ি আছে। অনেকে হেলিকপ্টার হুজুর হিসেবে
পরিচিত হয়েছেন। এর কারণ হল আমাদের অর্থনীতি ভালো হয়েছে। এখন কেন এক শ্রেণির লোকজন
এসব ধ্বংস করছেন?
তিনি যোগ করেন, “আমরা চাই সকলের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমরা
আধ্যাত্মিক আলেম দেখতে চাই, রুহানি আলেম দেখতে চাই।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাসীকে উদ্দেশ্য করে আইজিপি বলেন, আপনাদের
ভয়ের কোনো কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা মামলা করুন,
অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে আইজিপি বেনজির আহমেদ হেলিকপ্টারে করে বেলা ১১টায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, পৌরসভা, সুর সম্রাট দি
আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনসহ হেফাজতের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন
করেন।