দক্ষিণ এশিয়ায় কার্প
জাতীয় মাছের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা এখন ‘বঙ্গবন্ধু মৎস হেরিটেজ’।
গত বছরের ২২ মে হালদায়
ডিম ছাড়ে মা মাছ। মৎস্য অধিদপ্তরের দাবি, গতবার রেকর্ড সাড়ে ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হালদা
নদীর নয়াহাট এবং গড়দুয়ারা অংশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পোনা অবমুক্ত করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হালদা থেকে সংগ্রহ করা
ডিম থেকে চার দিন বয়সী রেণু সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরে তা গড়দুয়ারা এলাকার একটি মডেল পুকুরে
রেখে বড় করা হয়।
হালদা থেকে ‘রেকর্ড’ সাড়ে ২৫০০০ কেজি ডিম সংগ্রহ
মা মাছ বাড়াতে হালদায় ছাড়া হল তিন হাজার পোনা
“এবার আমরা প্রায় ১০
হাজার পোনা অবমুক্ত করব নদীতে। এবারে বেশ কিছু কালিবাউশের পোনা ছেড়েছি। এই মাছটি গত
কয়েক বছরে নদীতে খুব কম চোখে পড়েছে। নদী পাড়ের মৎস্যজীবীরাও জানিয়েছেন কালিবাউশ কমে
গেছে। তাই এর সংখ্যা বাড়তে আমরা জোর দিচ্ছি।”
এবার সংগৃহীত রেণুতে
কালিবাউশের সংখ্যা বেশি থাকাটা ইতিবাচক উল্লেখ করে রুহুল আমিন বলেন, “নদীতে মা মাছ
বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে আমরা পোনা অবমুক্ত করা শুরু করেছি। এর অংশবিশেষও যদি বাঁচে, তবে
হালদায় মা মাছের সংখ্যা কয়েক বছরের মধ্যে অনেক বাড়বে।”
বৃহস্পতিবার ছাড়া ১০
মাস বয়সী পোনাগুলোর ওজন সাতশ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত। এর মধ্যে কালিবাউশ ছাড়াও
রয়েছে রুই, কাতাল ও মৃগেল।
পোনা ছাড়ার সময় গড়দুয়ারা
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ তালুকদার, হাটহাজারী উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা
নাজমুল হুদা রনি এবং হালদা পাড়ের মৎস্যজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে হালদা
করোনাভাইরাস: হালদাপাড়ে আশা-আশঙ্কার দোলাচল
হালদা হবে ‘বঙ্গবন্ধু জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ ঐতিহ্য’
হাটহাজারী উপজেলার
জ্যেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা নাজমুল হুদা রনি বলেন, “মৎস্য অধিদপ্তরও কয়েক বছর ধরে হালদায়
পোনা ছাড়ছে। সরকারি হ্যাচারিতে বড় করা পোনা শনিবার মদুনাঘাট এলাকায় আমরা ছাড়ব।”
সচরাচর এপ্রিলের মাঝামাঝি
থেকে জুনের শুরু পর্যন্ত বজ্রসহ বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢল নামলে অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথিতে
জোয়ার ও ভাটার সময়ে হালদা নদীতে নিষিক্ত ডিম ছাড়ে কার্প জাতীয় মাছ।
নাজমুল হুদা রনি জানান,
হালদায় মাছের আনাগোনা ইতিমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। ভাটার সময় প্রচুর মাছের উপস্থিতি
লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি
বজ্রসহ বৃষ্টি হলে সেসময় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে, ধারণা করছেন এই মৎস্য কর্মকর্তার।