বাড়তে থাকা বেসামরিক আহতদের চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টার সময় তাদের কর্মীরা এসব পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাটি।
সংস্থাটি বলেছে, সেনাবাহিনী মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করার দুই মাস পর ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটে তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জান্তা বাহিনীগুলো প্রতিদিন বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টা করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিককে হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মিয়ানমার রেড ক্রসের টিম এ পর্যন্ত দুই হাজার জনেরও বেশি লোককে সেবা দিয়েছে বলে সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সেবা দিতে গিয়ে তারাও হামলার শিকার হয়েছে।
আইএফআরসির এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক আলেকজান্ডার ম্যাথিউ বলেছেন, “মিয়ানমার রেড ক্রসের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানকারীদের ও চিকিৎসা কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার, ভীতি প্রদর্শন বা জখম এবং রেড ক্রসের সম্পত্তি ও অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষতি করা হচ্ছে। এগুলো অগ্রহণযোগ্য।
“কখনোই স্বাস্থ্য কর্মীদের হামলার লক্ষ্য করা উচিত নয়। আহতদের কাছে যেতে তাদের অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত।”
বিবৃতিতে এসব হামলার জন্য দায়ী কোনো গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করা হয়নি এবং রেড ক্রসের মুখপাত্র আর কোনো মন্তব্য করতেও রাজি হননি বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা স্বাস্থ্য কর্মীদের গালাগালি ও মারধর করছেন আর অন্তত একটি ঘটনায় এক অ্যাম্বুলেন্সে গুলিবর্ষণ করছেন। এসব ভিডিওর সত্যাসত্য রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
পরিবহন ও ব্যাংকিংয়ের মতো প্রাথমিক সেবাগুলো ভেঙে পড়ায় মিয়ানমারে মানবিক কর্মসূচীগুলো বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে এবং এতে দেশটির সংকট বিস্তৃত স্বাস্থ্য হুমকি তৈরি করতে পারে বলে রেড ক্রস সতর্ক করেছে।
অস্থিরতার কারণে পরীক্ষা, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় দেশটির কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগগুলোও হুমকির মুখে পড়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।