বৃহস্পতিবার ঢাকার
সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আগামী ২০ মে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন
দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ ইমেইলের ভিত্তিতে গবেষণায় ‘চৌর্যবৃত্তির’ দায়ে শাস্তি
দেওয়া হয়েছে, এমন অভিযোগে বুধবার মামলার আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান।
মামলার
আবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর সামিয়া রহমান এবং ক্রিমিনোলজি
বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজানের বিরুদ্ধে গবেষণায় কারসাজির অভিযোগে
তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি
শিকাগো জার্নালের ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের এক ই-মেইলের ভিত্তিতে সামিয়া রহমানকে
সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দিয়ে সহকারী অধ্যাপক করার যে শাস্তির সুপারিশ করে তা
সম্পূন্ন মিথ্যা, ভুয়া, তথ্য বিভ্রাট, বানোয়াট এবং সৃজিত।
ওইদিন
শিকাগো জার্নাল থেকে অফিশিয়ালি সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোনো ই-মেইল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ই-মেইলে পাঠানো হয়নি। এলেক্স মার্টিন বলে শিকাগো
জার্নালে কেউ কখনো কাজ করেনি। এমনকি শিকাগো প্রেসেও এলেক্স মার্টিন বলে কোনো ব্যক্তি
নেই।
সামিয়া
রহমান তার ফেইসবুকের মাধ্যমে শিকাগো জার্নালের অফিশিয়াল এডিটর ক্রেইজ ওয়াকারের
সাথে যোগাযোগ করে তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে জানতে চান।
ক্রেইজ
ওয়াকার জানিয়েছেন, এলেক্স মার্টিন বলে কেউ কখনো শিকাগো জার্নালে ছিল না, কেউ নেই
এবং এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম নামে তাদের কোনো ই-মেইল আইডি নেই। এখানে কথিত
‘এলেক্স মার্টিন’ সেই ডোমেইনও ব্যবহার করেননি।
“সৃজিত
নিজস্ব ব্যক্তিগত এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম থেকে মেইলটি পাঠানো হয় এবং এখন
পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেই মেইলের কোনো সফট কপি সামিয়া রহমানকে দেওয়া হয়নি।
মিথ্যা ও বানোয়াট মেইল আইডির ওপর ভিত্তি করেই সামিয়া রহমানকে ‘চৌর্যবৃত্তির’
মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।”
সামিয়া
রহমান শিকাগো জার্নালের ওয়েবসাইট শিকাগোজার্নাল.কম এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে
জানতে পারেন, তাদের অফিশিয়াল ই-মেইল আইডি ‘এডিটর@শিকাগোজার্নাল.কম’ এবং ওয়েবসাইটের
প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ক্রেইজ ওয়াকার।
এতে
বুঝা যায়, শিকাগো জার্নালে এলেক্সশিকাগোজার্নাল@জিমেইল.কম নামে কোনো অফিশিয়াল
ই-মেইল আইডি নেই। বিষয়টি সামিয়া রহমানের সন্দেহ ও উদ্বেগজনক মনে হলে গত ২১
ফেব্রুয়ারি অন্য এক জায়গায় যোগাযোগ করলে এলেক্স মার্টিন ‘ফেইক’ নাম এবং ওই মেইল
আইডি বানোয়াট।