সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির ফলে দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশটির হাসপাতালগুলো এখন রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সরকারের ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস’ ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, রাসায়নিক সার, বালাইনাশক, আগাছানাশক, হরমোন ইত্যাদি বাদ দিয়ে ফসলচক্র, সবুজ সার, কম্পোস্ট, জৈবিক বালাই দমন এবং যান্ত্রিক চাষাবাদ ব্যবহার করে শাকসবজি চাষই হলো জৈব সবজি উৎপাদন। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় এবং কোনো রাসায়নিক বস্তু চাষ কাজে ব্যবহার করা হয় না। এতে ফসল দূষিত হওয়ার শঙ্কা থাকে না এবং নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন অনেকটা নিশ্চিত হয়।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শনাক্ত রোগীর উল্লম্ফনের কারণে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মধ্যবয়সী ও তরুণদের জন্য দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে- হাসপাতালগুলোর এমন সতর্কবার্তার পর চিলির সরকার করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় বহাল বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার ঘোষণা দেয়।
ফাইজার ও সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন উৎপাদকদের সঙ্গে বিশ্বের যে দেশগুলো প্রথমেই চুক্তি করেছিল, চিলি ছিল তার একটি। লাতিনের এ দেশটির মোট জনগোষ্ঠীর ৩৫ শতাংশেরও বেশি এরই মধ্যে টিকা নিয়েও নিয়েছেন।
জনসংখ্যা অনুপাতে টিকাদানের হারে চিলির অবস্থান এখন বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয়, জানিয়েছে রয়টার্স।
জুলাইয়ের মধ্যে ‘হার্ড ইমিউনিটি’তে পৌঁছানোর লক্ষ্য ঠিক করলেও তার আগেই দেশটিতে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে।
বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন ৭ হাজার ৪৩০ রোগী শনাক্ত হয়েছে, গত বছরের মার্চে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে চিলিতে আর কখনোই ২৪ ঘণ্টায় এত রোগী পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবারের রোগী নিয়ে দেশটিতে সরকারি হিসাবেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
হাসপাতালে রোগীর চাপ এড়াতে দেশটির ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা সোমবার থেকে দেশি-বিদেশি সবার জন্য একমাস সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে।
কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনেই এ নির্দেশনার ব্যত্যয় দেখা যেতে পারে, বলেছে তারা।
কর্তৃপক্ষ চিলির ভেতরেও লোকজনের চলাচলে ক্ষেত্রে নতুন নতুন বিধিনিষেধ দিয়েছে। সুপারমার্কেট ও দোকানে খেলনা, পোশাক বা ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মতো এই মুহুর্তে প্রয়োজনীয় নয় এমন সব জিনিস কেনাবেচায় আরোপ হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
বাড়ি থেকে জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হলে কোথাও কোথাও কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।