তিনি মনে করেন, এ কারণেই
বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে।
শুক্রবার বিকালে এক
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা খুব উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত যে সামনে
রমজান আসছে। ইতিমধ্যে চাল-ডাল-লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যেভাবে বেড়ে গেছে,
এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সবসময় ব্যর্থ হয়েছে।
“কারণ যারা দাম বাড়ায়
সেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরকার জড়িত। সরকারের লোকেরাই এই সিন্ডিকেট তৈরি করে। যার ফলে
এই অবস্থা। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থনীতি এখন একটা দুর্নীতিবাজদের অর্থনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে,
লুটেরাদের অর্থনীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
করোনাভাইরাস সংক্রমণ
বাড়ার প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন
সাংবাদিকদের মুখোমুখি
হন বিএনপি মহাসচিব।
‘ফের মামলা সরকারের চক্রান্তের অংশ’
মির্জা ফখরুল বলেন,
“বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের, গ্রেপ্তারের ঘটনা হচ্ছে,
এটা সামগ্রিকভাবে আওয়ামী লীগের যে চক্রান্ত, সেই চক্রান্তেরই একটা অংশ। অর্থাৎ এখন
যারা রাজনৈতিক বিশ্লেষক আছেন তারা মনে করছেন যে, এটা সরকারেরই সাজানো।

“মূল্য উদ্দেশ্য হচ্ছে,
বিএনপিকে আবার মামলা-মোকাদ্দমার জালে জড়ানো। তারা যেভাবে সাংগঠনিক কার্য্ক্রম করছিল
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিচালনায়, তারা যেভাবে সংগঠিত হচ্ছিল। আমরা অন্যান্য
বিষয় নিয়ে কথা বলছিলাম, আন্দোলন শুরু করেছিলাম সেগুলোকে কী করে আবার একেবারেই বন্ধ
করে দেওয়া যায়, নিশ্চিহ্ন করার যায়, সেটারই একটা অংশ।”
গত কয়েকদিনে বিএনপির
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।
সাম্প্রতিক সহিংসতায়
জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন,
“নিপুণ রায় চৌধুরী একজন কর্মরত আইনজীবী, একজন সক্রিয় মানবাধিকার কর্মী এবং সচেতন রাজনীতিক।
কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠতে পারেনা। এটা সম্পূর্ণভাবে
একটি ষড়যন্ত্রমূলক, সাজানো এবং মিথ্যা দোষারোপ করার একটি জঘণ্য চক্রান্ত।”
তিনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের
বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারদের মুক্তির দাবি জানান।
‘জনসচেতনতা সৃষ্টিতে সরকার ব্যর্থ’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ
থেকে সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে যে সচেতনতা সৃষ্টি করার প্রয়োজন ছিল
জনগনের মধ্যে, তা করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
“তারা নিজেদেরকে সুরক্ষিত
রেখেছেন, নিজেরা মাস্ক পরেছেন, ফেসশিল্ড পরেছেন, ঘর থেকে বেরোননি। আর সাধারণ মানুষকে
ঠেলে দিয়েছেন ঘর থেকে বেরোনোর জন্য,” বলেন বিএনপি মহাসচিব