ক্যাটাগরি

সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, একটি ব্রত: তথ্যমন্ত্রী

শুক্রবার
কাপ্তাই উপজেলা অডিটরিয়ামে পিআইবি আয়োজিত ‘সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ
কর্মশালার’ সমাপণী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাছান
মাহমুদ বলেন, “আমরা একটি গণতান্ত্রিক-বহুমাত্রিক সমাজে বসবাস করি, এই সমাজের দর্পন
হচ্ছে গণমাধ্যম, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সুতরাং গণমাধ্যম যখন সঠিকভাবে
কাজ না করে তখন বহুমাত্রিক সমাজ ও গণতান্ত্রিক সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”

চট্টগ্রাম
জেলার রাঙ্গুনিয়া, রাউজান এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী ও কাউখালী উপজেলার
সাংবাদিকদের জন্য প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

আওয়ামী
লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয়, এটি অনেকের
কাছে একটি ব্রত। বহু সাংবাদিক আছেন, যারা সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করলে সচিব হয়ে
অবসরে যেতে পারতেন। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ছেড়ে সাংবাদিকতা পেশায় এসেছেন।

“বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভাল ছেলেরা সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করে সাংবাদিকতাকে ভালোবেসে এই পেশায় আসে।
সাংবাদিকতার নামে দুয়েকজন অপসাংবাদিকের ব্যক্তিগত দুর্নাম যাতে সামগ্রিক সাংবাদিক
সমাজকে কলংকিত করতে না পেরে সেদিকে নজর রাখতে হবে।”

সাংবাদিকদের
যোগ্যতা নির্ধারণের ব্যাপারে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, “বিভিন্ন সাংবাদিক
সংগঠনের নানা প্রোগ্রামে গেলে তখন অনেকে বলে সাংবাদিকতায় প্রবেশের জন্য একটি
শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়া প্রয়োজন। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এর বিপক্ষে।

“কারণ
পৃথিবীতে বহু মানুষ আছে, যাদের কোনো ডিগ্রি ছিল না, কিন্তু তারা অনেক জ্ঞানী।
কবিগুরু, কাজী নজরুল মেট্রিক পাস করেন নাই। বিল গেটস বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনবার ফেল
করে আউট হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের জ্ঞান পৃথিবীকে আলোকিত করেছে। তাদের জ্ঞান নিয়ে
গবেষণা হয়, পিএইচডি ডিগ্রি হয়।”

তিনি
বলেন, “অনেক সাংবাদিক আছেন, যিনি মাত্র মেট্রিক পাস, কিন্তু তিনি অনেক ভালো লেখেন।
আবার অনেক সাংবাদিক আছেন, যিনি মাস্টার্স পাস হয়েও ভালো রিপোর্ট লিখতে পারেন না।
তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিগ্রি নির্ধারণের বিপক্ষে।

“সারাদেশের
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সাংবাদিকতা করার ক্ষেত্রে একটি স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করা
প্রয়োজন, যাতে যে কেউ সাংবাদিকতায় ঢুকে যেতে না পারে। একটা অনলাইন খুলেই অনেকেই
নিজেকে সাংবাদিক দাবি করেন। তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু সাংবাদিকতা নয়, তাদের উদ্দেশ্য
ভিন্ন। এই ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।”

পিআইবির
মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ও রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক
জিগারুল ইসলাম জিগারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটির জেলা
প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন, অতিরিক্ত জেলা
প্রশাসক মো. মামুন।

কর্মশালায়
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির
জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান
সিকদার, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলিল, চন্দ্রঘোনা ক্রিশ্চিয়ান
ও কুষ্ঠ হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খিয়াং।