ইতালি এখন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের বিরুদ্ধে লড়ছে। ১ এপ্রিল দেশটিতে ২৩ হাজার ৬৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত এবং ৫০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার থেকে ইতালির সব অঞ্চল বিধিনিষেধের সর্বোচ্চ স্তর ‘রেড জোন’ এ আছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
লকডাউন চলাকালে অপ্রয়োজনীয় সব ধরনের চলাচল বন্ধ থাকবে, তবে ইস্টার ভোজে বাড়িতে দুই জন পূর্ণবয়স্ক অতিথিকে আপ্যায়িত করা যাবে।
ইস্টার সানডের দিন গির্জাও খোলা থাকবে, কিন্তু উপাসকদের তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের প্রার্থনাগুলোতে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
এবার দ্বিতীয় বছরের মতো পোপ ফ্রান্সিস জনশূন্য সেইন্ট পিটার’র্স স্কয়ারে তার ইস্টার ভাষণ দেবেন।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলো শেষ হওয়ার পর চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন অঞ্চল হয় ‘অরেঞ্জ জোন’ অথবা ‘রেড জোন’ এর আওতায় থাকবে।
নতুন এই লকডাউনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নয় এমন দোকানপাট বন্ধ থাকবে এবং ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলো থেকে শুধু খাবার কিনে আনা যাবে।
এমনিতে রেড জোন বিধিনিষেধ বলতে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা বোঝালেও ইস্টার পরব চলাকালীন সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোর জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সময় লোকজন তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের মধ্যে থাকা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দের বাড়িতে গিয়ে ছুটির দিনের ভোজে অংশ নিতে পারবে।
লকডাউনের এই বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য দেশব্যাপী ৭০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে বলে ইতালি সরকার জানিয়েছে।
ইউরোপজুড়ে করোনাভাইরাস টিকা কর্মসূচীর গতি ধীর হয়ে যাওয়ার মধ্যেই মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে, এ সময়ই ইতালি নতুন করে দেশজুড়ে বিধিনিষেধ জারি করল।
করোনাভাইরাস মহামারীতে ইতালিতে এক লাখ ১০ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।