শনিবার
ঢাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের মহামারীতে জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসে মিডিয়ায় ঝড় তোলা আর সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারই করোনাকালে বিএনপির সফলতা। তারা সরকারের কোনো উদ্যোগ চোখে দেখে না।”
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে বিএনপি নেতারা ‘মিথ্যাচার’ করছেন অভিযোগ করে
ওবায়দুল কাদের বলেন, “একবার লকডাউন নিয়ে অপপ্রচার, আবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মিথ্যাচার, সরকারের ব্যর্থতা খোঁজা বিএনপির রোজনামচা। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হয়েও দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ন্যূনতম মূল্যবোধও তারা হারিয়ে ফেলেছে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় সাম্প্রতিক তাণ্ডবে
জনগণের সম্পদ নষ্ট ও নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য ‘বিএনপিকেই’ জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে জনগণের উপর প্রতিশোধ নেওয়াই এখন বিএনপির কৌশল।”
যারা কথা দিয়ে কথা না রেখে দূরপাল্লার বাসে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে, তাদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “দুর্যোগের মধ্যে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।”
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক পরার
আহ্বান জানান তিনি।
“করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখনো অনেকেই মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অনিহা দেখাচ্ছে, যা প্রকারান্তরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আসতে পারে। নিজেদের সুরক্ষায় সবাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করাই এখন মূল কাজ।”
রোজা এলেই ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী’ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়
মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
“অহেতুক মূল্যবৃদ্ধি ও মজুদদারি নিয়ন্ত্রণে সরকার সতর্ক রয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে।
বাজার অস্থির করার যে কোনো অপপ্রয়াস সরকার মেনে নেবে না। কোনো সিন্ডিকেটের কাছে সরকার বাজার ব্যবস্থাকে জিম্মি হতে দেবে না।”