নির্যাতনকারীকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার আদালতের
মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান চারঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মেরামাতপুর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পুকুরপাড়ের একটি গাছে বেঁধে ওই শিশুটিকে নির্যাতন করা
হয়।
“নির্যাতনের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে
দেন নির্যাতনকারী জহিরুল ইসলাম নিজেই। তিনি ওই পুকুরের মালিক। তার পুকুর থেকে শিশুটি
মাছ চুরি করেছে বলে তার অভিযোগ।”
পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
ওসি জাহাঙ্গীর বলেন, রাতে শিশুর বাবা থানায় অভিযোগ
দায়ের করলে পুলিশ রাতেই বাড়ি থেকে জহিরুলকে গ্রেপ্তার করে। মামলায় শিশুনির্যাতনের
অভিযোগ আনা হয়েছে। তাছাড়া নির্যাতনের ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করায় জহিরুলের
বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাকে কারাগারে
পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জহিরুল বলেন, “মাঝে মাঝেই আমার পুকুর থেকে
মাছ চুরি হয়ে যায়। ওই শিশুসহ আরও কয়েকজন মাছ চুরি করছিল। তখন তাকে হাতেনাতে ধরেছি।
যেন বড় অপরাধ না করে সেজন্য তাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল।”
ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “সবাইকে
সচেতন করতে ছবি ফেইসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।”