শনিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের স্বাক্ষরে স্পিকারের কাছে ওই চিঠি দেওয়া হয়।
হারুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিএনপি দলীয় হুইপ হিসেবে রুমিন ফারহানার নাম দিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি। এখন স্পিকার এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
সংসদের প্রধান হুইপ (সরকারি দলের) মন্ত্রী এবং অন্য হুইপরা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা ভোগ করেন। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়েই এসব নিয়োগ দেওয়া হয়।
তবে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ ও হুইপ মনোনয়ন দেয় সংশ্লিষ্ট দল। পরে স্পিকারকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তারা একটি চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে আইন দেখে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রুমিন ফারহানা নিজের ফেইসবুক পাতায় লিখেছেন, “দলের পক্ষ থেকে আমাকে জাতীয় সংসদের হুইপ মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আমার প্রতি দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যে আস্থা রেখেছে তার মর্যাদা রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা আমি করব।”
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে মত দিয়েছিলেন, ২৫ জনের কম সদস্য নিয়ে কোনো দল গঠিত হলে এবং ওই দলে কমপক্ষে ১০ জন সদস্য থাকলে ওই দলকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ বলা যেতে পারে। কিন্তু সংসদীয় দল বলা যাবে না।
এরপর সব সংসদেই এই রীতি মানা হয়েছে। বিরোধী দলের বাইরে অন্য দল বা গ্রুপ নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই।
বর্তমানে বিএনপির সংসদ সদস্য সাত জন। বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার মাধ্যমে তাদের সংসদীয় কার্যক্রম করা হয়।