মঙ্গলবার থেকে আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হবে বলে সিসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
জানানো হয়েছে।
শনিবার বিকেলে আইসোলেশন সেন্টারের জন্য নির্ধারিত নগরীর কেন্দ্রে লালদীঘির
পাড়ে সিটি করপোরেশনের লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দুটি ফ্লোরে পরিদর্শন
করেন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
সিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীকে দ্রুততার
সাথে আইসোলেশান সেন্টার প্রস্তুতের নির্দেশ দেন মেয়র।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভবনের দ্বিতীয়
ও তৃতীয় তলায় ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করা হবে।
“এখানে চিকিৎসাধীনরা বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধপত্র ও অক্সিজেন এবং খাবারসহ
সব ধরনের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সেবা পাবেন। রোগী পরিবহন ও স্থানান্তরের জন্য সার্বক্ষণিক
অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও থাকবে।”
এছাড়া আক্রান্ত রোগীর অবস্থা জটিলতর হলে তা সারিয়ে তুলতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হয়ে বিশেষ পরামর্শ গ্রহণ এবং টেলিমেডিসিন সেবারও ব্যবস্থা থাকবে এই আইসোলেশন
সেন্টারে।
সিসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুমন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এই
আইসোলেশন সেন্টারে সিটি করপোরেশনের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
এর আগে গত বছর করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হলে নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেস রোডে
একটি কমিউনিটি সেন্টারে আইসোলেশন সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের
সদ্য সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
২০২০ সালের ১৩ জুন ২৫০ শয্যার এই সেন্টারটি চালু করা হয়। ১৪ অগাস্ট বন্ধ
হওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে সেবা নেন মোট ১২৯ জন। বহির্বিভাগে সেবা নেন ৩০ জন।
তখন ওই আইসোলেশন সেন্টারে ১৬ চিকিৎসকসহ ৯৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত ছিলেন।
দুই মাসের এই আইসোলেশন সেন্টারে সিসিসির খরচ হয় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
সিসিসি পরিচালিত আইসোলেশন সেন্টারটির জন্য আস্বাভাবিক দামে বিভিন্ন সরঞ্জাম
কেনার অভিযোগ ওঠে।
এরপর অভিযোগ তদন্তে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন সাবেক প্রশাসক
খোরশেদ আলম সুজন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিসিসির প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া তদন্ত
শেষে গত বছরের ৪ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।
এরপর গত বছরের ২ ডিসেম্বর সিসিসি’র গড়ে তোলা ওই আইসোলেশন সেন্টারের পূর্ত
কাজ ও কেনাকাটায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আইসোলেশন সেন্টারের কেনাকাটা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহের পাশাপাশি কেনাকাটা
ও নির্মাণকাজে জড়িতদের সাথেও কথা বলেছিল দুদকের তদন্ত দল।
এদিকে শনিবার থেকে নগরীতে বিনামূল্যে মাস্ক, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার
বিতরণের কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
এছাড়া নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরগণের তত্বাবধানে কোভিড-১৯ সুরক্ষায়
সচেতনতামূলক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে
কোভিড-১৯: চট্টগ্রামে আইসোলেশন সেন্টারে দুর্নীতির অভিযোগ
আইসোলেশন সেন্টারে যোগ না দেয়ায় সিসিসির ১০ চিকিৎসককে অব্যাহতি