ওজন
কমাতে চাইলে শুরুতেই মাথায় আসে খাবার তালিকা থেকে শর্করা বা কার্বোহাইড্রেইট বাদ দেওয়ার
কথা। কার্বোহাইড্রেইট দ্রুত রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়ায় ও ওজন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে,
এ কথা ঠিক।
এটাও
মনে রাখতে হবে, সব কার্বোহাইড্রেইট ক্ষতিকর নয়।
স্বাস্থ্যবিষয়ক
একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে ওজন কমাতে কম কার্বোহাইড্রেইট বা শর্করা-জাতীয়
খাবার কতটা কার্যকর বা ক্ষতিকর সে সম্পর্কে জানানো হল।
‘লো-কার্ব ডায়েট’ বা কম শর্করা-জাতীয়
খাদ্যাভ্যাস
খাবারে
কম কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ করাকে ‘লো-কার্ব ডায়েট’ বলে। এই ধরনের খাবার তালিকায় শর্করার
পরিমাণ কম ও এর ঘাটতি পূরণে উচ্চ চর্বি ও উচ্চ প্রোটিন ধরনের খাবার যুক্ত করা হয়। এই
ধরনের খাদ্যাভ্যাস কোলেস্টেরল ও রক্ত চাপের ঝুঁকি কমায়। তাই ‘লো-কার্ব ডায়েটে’ কার্বোহাইড্রেইটের
কিছু প্রকার, শরীরের প্রয়োজনীয় ও উপকারী পুষ্টি উপাদান যোগ করা হয়।
কম কার্বোহাইড্রেইটে কি আদৌ ওজন কমে?
ওজন
কমানোর গবেষণা অনুযায়ী কম কার্বোহাইড্রেট ধরনের খাবার কম চর্বি-জাতীয় খাবারের মতোই
ভূমিকা পালন করে। তবে কম কার্বোহাইড্রেইট ধরনের খাবার গ্রহণে অনেকেই নানা রকমের সমস্যার
মুখোমুখি হন।
কম-কার্বোহাইড্রেইট-জাতীয় খাবার স্বাস্থ্যঝুঁকি
বাড়ায়
স্থূলকায়
ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ‘ইন্সুলিন রেজিস্ট্যান্স’ তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক না
হওয়া পর্যন্ত কম কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া উপকারী। এটা কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ
স্বাভাবিক রাখতেও সহায়তা করে।
খাবার
তালিকায় কার্বোহাইড্রেইট না থাকা স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। একেবারেই কার্বোহাইড্রেইট
গ্রহণ না করায় শরীর শক্তি উৎপাদন করার জন্য দেহের চর্বি ও পেশি ভাঙা শুরু করে। ফলে
বিপাকক্রিয়াও কমতে থাকে।
হুট
করে কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণের মাত্রা বেশি কমিয়ে ফেললে তা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির
ঘাটতি সৃষ্টি করে। কিছু কার্বোহাইড্রেইট শরীরের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয়। যেমন- শস্য,
আঁশ সমৃদ্ধ খাবার ও ফল।
কার্বোহাইড্রেইট
গ্রহণের মাত্রা খুব বেশি কমিয়ে ফেললে তা গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থির সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য
ও বমিভাবের সৃষ্টি করে।
দীর্ঘদিন
কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ না করা হলে মাথা ব্যথারও সৃষ্টি করে।
ভালো কার্বহাইড্রেট গ্রহণে চেষ্টা করতে
হবে
কম
কার্বোহাইড্রেইট গ্রহণ শরীরের খানিকটা ওজন কমতে সহায়তা করে। তবে শরীর সক্রিয় রাখতে
প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতিও দেখা দেয়।
তাই
কার্বোহাইড্রেইট কমানোর বদলে বরং আঁশ সমৃদ্ধ ‘জটিল শর্করা’ যুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো।
এটা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে। ভালো কার্বোহাইড্রেইট ওজন কমানোর পাশাপাশি উচ্চ ক্যালরি
যুক্ত খাবার গ্রহণের ঝুঁকি কমায়।
ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন
খাদ্যাভ্যাস থেকে মাংস বাদ দেওয়া কুফল
খাদ্যাভ্যাসে যোগ করুন প্রদাহনাশক খাবার