শনিবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শুক্রবার যে ২৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে সাত জন ইউনান প্রদেশের বাসিন্দা এবং তারা স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছেন।
ইউনানের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী শহর রুইলিতে কোভিড-১৯ এর একটি ক্লাস্টার আবির্ভূত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য কমিশনের প্রেস ব্রিফিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুইলির আক্রান্তদের জেনেটিক বিশ্লেষণে ধারণা পাওয়া গেছে তারা মিয়ানমার থেকে আসা ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন, চীনের স্থানীয় অন্যান্য সাম্প্রতিক সংক্রমণের সঙ্গে এদের সম্পর্ক নেই।
রুইলি ইউনান প্রদেশের একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট। প্রতিবেশী মিয়ানমার, লাওস ও ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার পর্বতময় সীমান্ত আছে ইউনানের। মহামারী থেকে রক্ষা পেতে গত বছর এসব দেশ থেকে বহু অবৈধ অভিবাসী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউনানে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রুইলির কর্তৃপক্ষ বাড়িতে কোয়ারেন্টিন, শহর ছেড়ে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও গণপরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। শনিবার পর্যন্ত নগরীর স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তিন হাজার ৬৫০টি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ ও দ্বিতীয় পর্যায়ের সংস্পর্শের ঘটনা শনাক্ত করেছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে।
চীনের মূলভূখণ্ডে অপর যে ১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন তারা বিদেশ ফেরত বলে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের বাহক কিন্তু রোগ লক্ষণ নেই এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত রোগী হিসেবে বিবেচনা করে না চীন। দেশটিতে চার জন এমন নতুন বাহকের সন্ধান পাওয়ার পর এ সংখ্যা ২০ থেকে বেড়ে ২৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনের মূলভূখণ্ডে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর মোট সংখ্যা এখন ৯০ হাজার ২৫২ জনে দাঁড়িয়েছে আর মৃত্যুর সংখ্যা অপরিবর্তিত অবস্থায় চার হাজার ৬৩৬ জনই রয়েছে।