শনিবার
কাউন্সিলের এক জরুরি সভায়
এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও অ্যাটর্নি জেনারেল
এ এম আমিন উদ্দিন
জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
তিনি বলেন, “আজকে আমরা একটি জরুরি বিশেষ সভা ডেকেছিলাম। করোনার যেহেতু এই অবস্থা, তাই
ভার্চুয়ালি সভা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উপস্থিত সবার মতামতের ভিত্তিতে বার কাউন্সিলের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সভায় আমিসহ ৯ জন ছিলাম।”
গত
১৮ মার্চ বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে নির্বাচন
হওয়ার কথা ছিল।
তফসিল
অনুযায়ী গত ২৮ মার্চ
থেকে মনোনয়নপত্র দাখিল শুরু হয়, ৪ এপ্রিল অর্থাৎ
রোববার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ছির ১১ এপ্রিল। আর
১৫ এপ্রিল ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
পদাধিকার
বলে বার কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন রাষ্ট্রের প্রধান
আইন কর্মকর্তা অর্থাৎ বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল। তাকে নিয়ে ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী
কমিটি বার কাউন্সিলের।
ভোটের
মাধ্যমে দেশের প্রায় অর্ধ লক্ষ সনদপ্রাপ্ত আইনজীবী তিন বছরের জন্য ১৪ জন প্রতিনিধি
নির্বাচন করে থাকেন। তার মধ্যে সাধারণ আসনে সাতজন ও দেশের সাতটি
অঞ্চল থেকে বাকি সাতজনকে নির্বাচন করা হয়।
নির্বাচিত
সদস্যরা তাদের মধ্য থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত করেন।
২০১৮
সালের বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪ সদস্যের নির্বাহী
কমিটিতে সরকার সমর্থক বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা ১২টি পদে এবং বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা দুটি পদে বিজয়ী হন।
পরে
বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী
ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ভাইস চেয়ারম্যান মনোনিত হন।
বার
কাউন্সিলের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী জুন মাসে।