ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত

একটি গাড়ি কমপ্লেক্সের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায় এবং তারপর চালক একটি ছুরি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে ছুটে যায় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

কর্মকর্তারা গুলি করে ওই হামলাকারীকে হত্যা করে।

এই হামলার ঘটনাকে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বলে মনে করছেন না ওয়াশিংটন ডিসির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান রবার্ট কন্তি।

তিনি বলেন, ‘‘যদিও এই হামলা আইন প্রয়োগকারীদের উপর ছিল বা যার উপরই হোক। এর শেষ দেখা আমাদের দায়িত্ব এবং আমরা সেটা করবো।”

নিহত ক্যাপিটল পুলিশ কর্মকর্তা উইলিয়াম ‘বিলি’ ইভান্স। ছবি: রয়টার্স 

নিহত ক্যাপিটল পুলিশ কর্মকর্তা উইলিয়াম ‘বিলি’ ইভান্স। ছবি: রয়টার্স 

ক্যাপিটল পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আহত কর্মকর্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আ‍ঘাত পেলেও তার জীবননাশের আশঙ্কা নেই বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম উইলিয়াম ‘বিলি’ ইভান্স। ১৮ বছর ধরে তিনি ক্যাপিটল পুলিশে সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তিনি ক্যাপিটল পুলিশের ফার্স্ট রেসপন্স দলে ছিলেন।

ক্যাপিটল পুলিশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান যোগানন্দা পিটম্যান নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ইভান্স এবং তার পরিবারের জন্য সমবেদনা এবং প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ক্যাপিটলে হামলা নিয়ে তদন্ত করছেন এমন দুই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিবিএস নিউজকে বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম নোয়া গ্রিন। তার বছর ২৫ বছর এবং তিনি ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা।

তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে গ্রিন ভার্জিনিয়া রাজ্যের নিউপোর্ট নিউজে বসবাস করতেন বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশের তথ্যভাণ্ডারে তার কোনো অতীত অপরাধের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি।

গত মাসের মাঝামাঝির দিকে গ্রিন তার ফেসবুক পাতায় লিখেছিলেন, সম্প্রতি তিনি চাকরি ছেড়েছেন। এছাড়া, না জেনে তিনি একদিন যেসব মাদক গ্রহণ করেছেন এখন তার শরীরে সেসবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

গ্রিনের ফেসবুক পাতাটি এখন মুছে দেওয়া হয়েছে বলে ‍জানায় বিবিসি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এ হামলা এবং ক্যাপিটল পুলিশ কর্মকর্তা নিহতের ঘটনা তার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করতে তিনি হোয়াইট হাউজে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, এ ঘটনা নিয়ে চলমান তদন্তের সারসংক্ষেপ তাকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার সকালে ওই ঘটনার পর ক্যাপিটল ভবন এবং কংগ্রেসের অফিস ভবনগুলোতে যাওয়ার সব পথ পুলিশ আটকে দেয়।

ইস্টার সানডের ছুটি থাকায় ঘটনার সময় যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষের কোনো সদস্যই ক্যাপিটল ভবনে উপস্থিত ছিলেন না। হামলার পরপরই ক্যাপিটল ভবন এলাকায় ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপের কয়েক ডজন সদস্য মোতায়েন করা হয়।

গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে ডনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার রক্তাক্ত ঘটনার তিন মাসের মাথায় নতুন করে এ ঘটনা ঘটল।