ব্যাংক চললে পুঁজিবাজারও চলবে বলে শনিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে সরকার আগামী সোমবার থেকে এক সপ্তাহ ‘লকডাউন’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও এক ভিডিও বার্তায় লকডাউন পরিকল্পনার আভাস দিয়েছেন।
এমন অবস্থার মধ্যে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, “বাংলাদেশে ব্যাংকের কার্যক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজার খোলা থাকবে। আর এখন বিনিয়োগকারীদের কোনো সমস্যা হবে না, যেহেতু সব অটোমেটেড বিনিয়োগকারীরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বা ফোনে লেনদেন করতে পারবেন।
“নিয়ম মেনে ব্রোকারেজ হাউজগুলো খোলা থাকবে। ব্রোকারেজ হাউজ ট্রেডাররা নিয়ম মেনে বসবে, বিনিয়োগকারীরা লেনদেন চালিয়ে যেতে পারবেন।”
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কোভিড-১৯ মহামারিকালসহ যেকোনো সময় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারের সকল লেনদেন চালু থাকবে৷ এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের কোনো রকম গুজবে কান না দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে ডিএসই৷”
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পক্ষ থেকেও একই কথা বলা হয়েছে।
“কোবিড-১৯ মহামারিকালে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে,” বলেছে সিএসই।
গত বছর মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে ওই মাসের ২৬ তারিখ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে পুঁজিবাজারও বন্ধ হয়ে যায়। ৬৬ দিন পর গতবছরের ৩১ মে থেকে ফের লেনদেন শুরু হয়।
আর মহামারীর শুরু থেকেই ব্যাংকগুলো খোলা ছিল।