লিয়ং সি হিয়ান নামের ওই আর্থিক পরামর্শক এবং ব্লগার ফেইসবুকে একটি অনলাইন সংবাদের লিংক শেয়ার করেছিলেন যেটি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীকে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় তহবিল ওয়ানএমডিবি-র আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে।
মিথ্যা অভিযোগের দায়ে প্রধানমন্ত্রী মামলা করে দেন ব্লগার সি হিয়ানের বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবীদের দাবি ওই লিংকের সংবাদ “মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন”। সরকারের অনুরোধ মেনে লিয়ং ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ওই লিংক শেয়ার করার তিন দিন পর মুছেও ফেলেন।
সিঙ্গাপুর হাইকোর্ট ২৪ শে মার্চ দেওয়া রায়ে লিয়ং সি হিয়ানকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক লাখ ৩৩ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা দেওয়ার আদেশ দেয়, যা প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলারের সমান।
অর্থ যোগাড়ের পর সোমবার রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, “আমি খুব খুশি, খুব কৃতজ্ঞ।”
লিয়ং রবিবার গভীর রাতে ফেইসবুকে এক ঘোষণা দিয়ে বলেন, যখন তিনি পোস্টটি লিখছেন ততক্ষণে সব মিটে গেছে।
“এটি শেষ হয়েছে। পুরো অর্থই দেওয়া হয়ে গেছে।”
দুর্নীতির বিষয়ে শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা দেওয়া ৬৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী লি পান থেকে চুন খসলেই মামলা করার বিষয়ে পরিচিত বলে প্রতিবেদনে বলেছে রয়টার্স।
লির প্রয়াত পিতা এবং আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়ে সহ ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতারাও এর আগে বিদেশী মিডিয়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং অনলাইন মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে অনেকবরই মানহানির মামলা করেছেন।