ক্যাটাগরি

সাইক্লিংয়ে ফয়সাল-শিল্পী, ভারোত্তোলনে স্মৃতি-মোস্তাইনের রেকর্ড

সাইক্লিংয়ে সেনাবাহিনীর ফয়সাল সব মিলিয়ে ৫টি ও শিল্পী ৪টি রেকর্ড গড়েছেন। ভারোত্তোলনে স্ন্যাচে স্মৃতি ও মোস্তাইন ভেঙেছেন নিজেদের রেকর্ড।

সাইক্লিং:

সাইক্লিংয়ের শেষ দিনে আরও ৫টি রেকর্ড হয়েছে। সবকটি গড়েছেন সেনাবাহিনীর সাইক্লিষ্টরা।

আর্মি স্টেডিয়ামে নারীদের ১২০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন, সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও গীতা রায় ১ মিনিট ৫২.৬৯ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল আনসারের; ২০১৩ সালে ২ মিনিট ০১.১২ সেকেন্ডের।

পুরুষ ১৬০০ মিটার টিম টাইম ট্রায়ালে সেনাবাহিনীর ফয়সাল বিশ্বাস, আলমগীর হোসেন, মুক্তাদুর আল হাসান ও শরিফুল ইসলাম ২ মিনিট ১৪.৫৯ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে ২ মিনিট ২১.৩২ সেকেন্ডের (আনসারের)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ২ মিনিট ১৫.৫৬ সেকেন্ডে রুপা ও আনসার ২ মিনিট ১৮.৬৬ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতে।

নারীদের ৪০০০ মিটার স্ক্র্যাচ রেসে সেনাবাহিনীর সুবর্ণা বর্মা ৭ মিনিট ০৩.৫৮ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে ৮ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে তৎকালীন বিজেএমসির সমাপ্তি বিশ্বাসের। বাংলাদেশ আনসারের সোনিয়া ইয়াসমিন অভি ৮ মিনিট ১৩.৪৩ সেকেন্ডে রুপা ও একই সংস্থার নাবিলা ইসলাম মালা ৮ মিনিট ১৩.৭০ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতেন।

পুরুষদের ৪০০০ মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনীর ফয়সাল বিশ্বাস, শরীফুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও হেলাল উদ্দিন ৫ মিনিট ৫২.১৮ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে ৬ মিনিট ১২.৪ সেকেন্ডে বাংলাদেশ আনসারের। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৬ মিনিট ০৮ সেকেন্ডে রুপা এবং আনসার ৬ মিনিট ৮.৪৮ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জপদক জেতে।

নারীদের ২০০০ মিটার টিম পারস্যুটে সেনাবাহিনীর শিল্পী খাতুন, সুবর্ণা বর্মা, সমাপ্তি বিশ্বাস ও সুমিত্রা গাইন ৩ মিনিট ১৭.৬৪ সেকেন্ডে নতুন রেকর্ড গড়েন। আগের রেকর্ডটি ছিল আনসারের ২০১৮ সালে ৩ মিনিট ৩০.৬১ সেকেন্ডের। আনসার ৩ মিনিট ৩২.২৬ সেকেন্ডে রুপা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ৩ মিনিট ৪৮.৫৬ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জেতে।

ভারোত্তোলন

ভারোত্তোলনে প্রথম দিনে রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্মৃতি আক্তার ও বাংলাদেশ আনসারের মোস্তাইন বিল্লাহ। দুজনই স্ন্যাচে রেকর্ড গড়েন।

৪৯ কেজি ওজন বিভাগে সোনা জয়ের পথে স্ন্যাচে রেকর্ড ৬৬ কেজি তুলেছেন স্মৃতি আক্তার। ক্লিন এন্ড জার্কে ৭৩ কেজি তোলেন তিনি। মোট ১৩৯ কেজি উত্তোলন করে সোনা জিতেছেন তিনি। ২০২০ সালে স্মৃতিই ৫৫ কেজি তুলে আগের রেকর্ডটি গড়েছিলেন।

ছেলেদের ৬১ কেজি ওজন শ্রেণীতে সোনা জয়ের পথে স্ন্যাচে রেকর্ড ১০৬ কেজি তুলেছেন মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি ক্লিন এন্ড জার্কে তুলেছেন ১২১ কেজি। দুই বিভাগে তিনি মোট ২২৭ কেজি তুলেছেন। স্ন্যাচে আগের রেকর্ড ছিল মুস্তাইন বিল্লাহরই, ১০৫ কেজি।

নারীদের ৪৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে সব মিলিয়ে ১১৩ কেজি তুলে মোল্লা সাবিরা সুলতানা ও ছেলেদের ৫৫ কেজি ওজন বিভাগে বাংলাদেশ আনসারের জাকারিয়া মোড়ল স্ন্যাচে ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৯৮ কেজি তুলে সোনা জিতেছেন।

টেবিল টেনিস:

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিস মহিলা এককে অল আনসার ফাইনালে সাদিয়া রহমান মৌ ৪-২ সেটে হারিয়েছেন সোনাম সুলতানা সোমাকে। এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সালেহা পারভীন সেতু ও সেনাবাহিনীর সুলতান মাহি।

পুরুষ এককের ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের মুনতাসিন আহমেদ হৃদয় ৪-০ সেটে সেনাবাহিনীর রিফাত মাহমুদ সাব্বিরকে হারিয়েছেন। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পেয়েছেন বাংলাদেশ আনসারের জাভেদ আহমেদ ও মুফখারুল ইসলাম সজীব।

দুটি দলগত সোনা জিতেছে বাংলাদেশ আনসার। মিশ্র দ্বৈতে সোনাম সুলতানা সোমা ও জাভেদের জুটি ৩-২ গেমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রিফাত মাহমুদ সাব্বির-নওরীন সুলতানা মাহী জুটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।

পুরুষ দ্বৈতে আনসারকে দ্বিতীয় স্বর্ণ এনে দেন মুফরাতুল হামজা সজীব-ইমরান হোসেন হৃদয় জুটি। তারা ৩-২ গেমে হারান হাসিবুর রহমান-রিফাত মাহমুদ সাব্বির জুটিকে।

আর্চারি:

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে রিকার্ভ মিশ্র দলগত ফাইনালে বিকেএসপি ৬-০ সেট পয়েন্টে ঢাকা আর্মি আর্চারী ক্লাবকে হারিয়ে সোনা জিতেছে। কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ফাইনালে বাংলাদেশ আনসার ১৪৮-১৪৫ স্কোরের ব্যবধানে বিকেএসপিকে হারিয়ে সেরা হয়েছে।

রোলার স্কেটিং:

রোলার স্কেটিং, রোপ স্কিপিং ও রোলবল প্রতিযোগিতার পুরুষ ৫০০ মিটার স্প্রিন্টে আনসারের শরিফুল, নারী ৫০০ মিটার স্প্রিন্টে একই দলের বৃষ্টি এবং পুরুষ ৩০০০ মিটার রেসে মারুফ সোনা জিতেছেন। স্কেটিংয়ে ১২ টি ইভেন্টের সবগুলোয় সোনা জিতে দলগত সেরা হয়েছে আনসার। রোপ স্কিপিংয়েও ৮ ইভেন্টে সোনা জিতে দলগত সেরা হয়েছে আনসার।

শুটিং:

শুটিং ডিসিপ্লিনে ৮টি সোনা, ৫টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জসহ ১৮টি পদক নিয়ে দলগত সেরা হয়েছে আর্মি শুটিং অ্যাসোসিয়েশন। নেভি শুটিং ক্লাব ৩টি সোনা, ৪টি করে রুপা ও ব্রোঞ্জসহ ১১টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছে।

রোববার রাতে প্রতিযোগিতার ইভেন্টগুলো শেষ হয়। ৫০ মিটার পিস্তলে ৫১৬ স্কোর নিয়ে সোনা জিতেছেন আর্মি শুটিং অ্যাসোসিয়েশনের শাকিল আহমেদ। নিজের প্রিয় ১০ মিটার পিস্তলে ব্রোঞ্জ পাওয়ার হতাশায় কিছুটা প্রলেপ দিতে পেরেছেন কমনওয়েলথ গেমসে রুপা জেতা এই শুটার।

মেয়েদের ২৫ মিটার পিস্তলে কুষ্টিয়া রাইফেল ক্লাবের আরদিন ফেরদৌস আঁখি ৫৫১ স্কোর করে প্রথম হয়েছেন। ৫০ মিটার রাইফেলে (৩*৪০) আব্দুল্লাহ হেল বাকি ১১৩৩ স্কোর গড়ে সোনা জিতেছেন। ৫৮০ স্কোর নিয়ে ৫০ মিটার রাইফের প্রোন পুরুষ জুনিয়র বিভাগে সেরা হয়েছেন বিকেএসপি শ্যূটিং ক্লাবের ফারদিন মোহাম্মদ অর্ণব।

ফেন্সিং:

সোমবার শেষ হওয়া ফেন্সিং ডিসিপ্লিনে ৭টি সোনা, ৩টি রুপা ও ৪টি ব্রোঞ্জসহ ১৪টি পদক জিতে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে মহিলাদের ইপি দলগত ইভেন্টে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ আনসার। ডিসিপ্লিনের শেষ ইভেন্ট মহিলাদের দলগত সেইবারে সোনা জিতেছে নৌ বাহিনী।

আনসার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪টি সোনা, ৬টি রুপা ও ৪টি ব্রোঞ্জ এবং সেনাবাহিনী ১টি সোনা, ২টি রুপা ও ৬টি ব্রোঞ্জ জিতেছে।