ক্যাটাগরি

অনলাইনে নিত্যপণ্যের কেনাকাটা বাড়ছে


খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাহীরা বলছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের বিস্তার বাড়ার
পর থেকে অর্ডার বাড়ছিল। তবে ‘লকডাউনের’ খবরে আগের চেয়ে ক্রেতাদের অর্ডার বেশি পাচ্ছেন
তারা।

ক্রেতারও
বলছেন, মাঝে কয়েকমাস অনলাইনে কেনাকাটা না করলেও গত দু’দিনে নিত্যপণ্যের জন্য তারা এসব
ই-কমার্স সাইটের দিকে ঝুঁকছেন।

রাজধানীর
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন গতবছর ‘সাধারণ ছুটির’ সময় নিত্যপণ্য কিনেছেন অনলাইন
শপ থেকে। করোনাভাইরাসের বিস্তার কিছুটা কমায় আগের মত বাজারে কিংবা সুপারশপে গিয়ে কেনাকাটা
করতেন। তবে এখন আবারও শুরু করেছেন অনলাইন কেনাকাটা।

বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “গত মাসের শেষের দিকে যখন সংক্রমণ বাড়া শুরু করে তখন
বাজারে যাওয়া বন্ধ করে অনলাইনে কেনাকাটা শুরু করি। গতবছরও তাই করেছিলাম। শনিবার যখন
জানতে পারি নতুন করে লকডাউন দিচ্ছে। তখন চাল-ডালের মত কয়েকটি পণ্য অর্ডার করি।”

গতবছর
মহামারীর শুরুর পর অনলাইনে পণ্য বিক্রি শুরু করে সুপার শপ ‘স্বপ্ন’। পাশাপাশি টেলিফোনেও
অর্ডার নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির
ই-কমার্স বিভাগের প্রধান খাজা আসহাদ বেলাল বলেন, “লকডাউন ঘোষণার পর স্বপ্নের অনলাইনে
অর্ডার বেড়েছে । গত এক মাসে দৈনিক যে পরিমাণ অর্ডার হতো, তার চেয়ে গত তিনদিনে অনেকটাই
বেড়েছে।”

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধের চেষ্টায় সোমবার সাত দিনের ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে।
দেশজুড়ে চলাচল সীমিত করায় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বাধ্যবাধ্যকতা দেওয়ায় অনেক
কিছুই করা যাবে না।

করোনাভাইরাসের
প্রকোপ বাড়ায় অনলাইন শপগুলোর কাছ থেকে নিত্যপণ্যের কাঙ্ক্ষিত সেবা ঠিকঠাক চান ধানমণ্ডির
ফয়েজ আহমেদ।

তিনি
বলেন, “অনলাইন শপগুলোতে নির্ভর করছি। গত বছর লকডাউনের সময় অনেক সমস্যা হয়েছে। আশা করছি,
এবার তারা ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিয়েছে।”

দেশের
সবচেয়ে বড় নিত্যপণ্যের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘চালডাল ডটকম’। গত বছরের অভিজ্ঞতায় গুদামের
পাশাপাশি পণ্য সরবরাহের জন্য লোকবলও বাড়িয়েছে তারা। ঢাকার বাইরেও ব্যবসা শুরু করেছে
প্রতিষ্ঠানটি।

চালডালের
অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ অপারেটিং অফিসার জিয়া আশরাফ বলেন, “গতবছরের অভিজ্ঞতার পর
আমরা নিজেদের সক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছি। এখন আমরা এক ঘণ্টায় পণ্য ডেলিভারি দিতে পারছি।
এবার লকডাউনের ঘোষণার পর অর্ডার যেমন বেড়েছে তেমন বেড়েছে মানুষের জানতে চাওয়া।

“অনেকেই
আমাদের কাস্টমার কেয়ারে কল করে জিজ্ঞাসা করছেন আমরা ঠিকমত পরিষেবা দিতে পারব কিনা।
কারণ গতবছর হঠাৎ করে লকডাউন হওয়ায় আমাদের কাজ করতে কিছু অসুবিধা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে
মানুষ জানতে চাইছে।”

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

তবে
গতবার ক্রেতারা অনেক বেশি পণ্য কিনতে চাইলেও এবার সেই প্রবণতা কম বলে জানান জিয়া।

“গতবার
যেমন মানুষ অনেক পরিমাণে অর্ডার করেছিল এবার সেটা কমেছে। আর আমরা কিছু নিত্যপণ্য মজুদ
করেছি, যাতে ঠিকঠাক অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারি। লকডাউন ঘোষণার পর অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন,
সে হিসেবে আমাদের অর্ডার কমার কথা, কিন্তু তা হয়নি।”

অনলাইনের
পাশাপাশি আউটলেটগুলোতে ফোনে অর্ডার করলে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয় সুপার শপ ‘মীনাবাজার’।
তাদের হিসাবে আগের চেয়ে গত তিনদিনে ৫০ ভাগ অর্ডার বেড়েছে।

মীনাবাজারের
প্রধান নির্বাহী শাহীন খান বলেন, “গতবছর আমি বলেছিলাম আমরা ওয়েবসাইট পরিবর্তন করেছি।
কেন্দ্রীয়ভাবে কলসেন্টার চালু করার কথাও জানিয়েছিলাম। আমরা এখন কলসেন্টার থেকে আমাদের
মেম্বারদের নিয়মিত কল করে তাদের চাহিদা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। সেভাবে অর্ডার ডেলিভারিও
দেওয়া হচ্ছে।”


অনলাইন কেনাকাটায়ও ভিড় আর বিড়ম্বনা
 

ঘরবন্দি মানুষের অনলাইনে কেনাকাটায় ঝোঁক
 

অনলাইনে কেনাকাটা: ভোক্তার ভোগান্তির শেষ কোথায়
 

মহামারীকালে অনলাইনে নিত্যপণ্য কেনা বেড়েছে ‘৫০ শতাংশ’