সোমবার নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
সবাইকে সচেতন হতে পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “উদাসীনতা না দেখিয়ে সকলে শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।”
সোমবার লকডাউনের প্রথম দিন রাজধানীতে বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ‘ঢিলেঢালা’ ভাব। আর তা মানাতেও খুব বেশি কড়াকড়ি দেখা যায়নি।
ভোর ৬টায় লকডাউনের শুরু থেকে ঢাকায় বাস চলছে না। তবে প্রাইভেট কার, অটোরিকশা ও রিকশা চলছে রাস্তায়।
সীমিত পরিসরে সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় কেউ কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বা রিকশায় কর্মস্থলে যাচ্ছেন। বাস বন্ধ থাকায় তাদের সমস্যা বেড়েছে।
নিধিনিষেধ মেনে অধিকাংশ শপিং মল বন্ধ রাখা হলেও লকডাউন প্রত্যাহারের দাবিতে নিউ মার্কেট এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভ করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে। হেফাজত নেতার নৈতিক অবনমনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তথ্যনির্ভর এবং প্রকৃত সত্যের উদঘাটন।
প্রথম দিন ঢাকায় ঢিলেঢালা ‘লকডাউন’
“শেখ হাসিনার বক্তব্য ধর্মব্যবসায়ীদের আঁতে ঘা লেগেছে। জনগণ ভেবেছে এ লজ্জাজনক ঘটনার পর তথাকথিত নেতারা জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে চোরের মায়ের বড় গলা।”
তিনি বলেন, “তাদের একজন নেতার সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অনৈতিক ঘটনার পর তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এবং একজন সুন্দরী মহিলাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেওয়া এখন আর গোপন নয়।
“এসব অনৈতিক ঘটনার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের যে তাণ্ডবলীলা চলছে, তাতে এই উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।”
মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ‘টার্গেট করেই তারা তাদের পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়’ বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা তাণ্ডব চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের সাথে দেশের জনগণ রয়েছে। সুতরাং যারা পেছন থেকে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছে এবং অর্থায়ন করছে, তাদের মুখোশও উন্মোচন করা হবে।”