এনডিটিভি জানায়, ওই ভোটকেন্দ্রটি ডিমা হাসাও জেলার হাফলং শহরে। গত ১ এপ্রিল সেখানে আসামের বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোট গ্রহণ করা হয়।
এ ঘটনায় ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপালন করা প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ ছয় নির্বাচনী কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। ‘দায়িত্বে অবহেলার’ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া, নির্বাচন কমিশন ওই ভোটকেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে বলেও সোমবার জানান গেছে। ওই ভোটকেন্দ্রটি হাফলং শহরের প্রধান ভোটকেন্দ্রের সহায়ক ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘‘প্রিজাইডিং এবং প্রধান পোলিং কর্মকর্তা এক বিবৃতিতে স্বীকার করেছেন, তারা প্রধান ভোটকেন্দ্রে নিবন্ধিত কয়েকজন ভোটারকে ওই ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন।”
আসামে এটি দ্বিতীয়বার পুনঃভোট আয়োজনের নির্দেশ হতে যাচ্ছে। এর আগে রাতাবাড়ি আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণের আদেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।
সেবার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিজেপির একজন প্রার্থীর গাড়িতে করে ইভিএম মেশিন বহন করার ছবি প্রকাশ পেলে তা নিয়ে বড় ধরনের হইচই শুরু হয়ে যায়।
আসামে কংগ্রেসের প্রধান গৌরভ গোগৈ এক টুইটে লেখেন, ‘‘বিজেপি শুধুমাত্র এভাবেই আসামে জিততে পারবে।”
পরে ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া, এর সঙ্গে জড়িত চার নির্বাচনী কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হন।
আসামে তিন দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফায় ভোট হয়েছে গত ২৭ মার্চ। আগামী মঙ্গলবার তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা।
আসামের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। তাদের দিকে এবার বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ‘মহাজোট’।