ক্যাটাগরি

গাইবান্ধায় ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২

রোববার সন্ধ্যায় এই ঝড়ে সদর উপজেলায় পাঁচ জন, পলাশবাড়ীতে তিন জন, ফুলছড়িতে দুই জন এবং সুন্দরগঞ্জে ও গোবিন্দগঞ্জে একজন করে নিহত হন।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন ১২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।

ঝড়ে জেলার সাত উপজেলার মধ্যে ছয়টির ৪৩টি ইউনিয়নের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ ও সাড়ে চার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাড়ে আটশ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে, ২৪ ঘণ্টায়ও জেলা শহরের আশপাশের এলাকাসহ গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়নি।

সোমবার মারা যাওয়া দুইজন হলেন সদর উপজেলার মোল্লারচর ইউনিয়নের চিথুলিয়াচর গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী বাতাসি বেগম (৩২) ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা গ্রামের নাজমুল হোসেনের স্ত্রী শারমিন বেগম (২০)।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, ঝড়ে গাছ চাপায় আহত শারমিন বেগম সোমবার ভোর রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা ইদ্রিস আলী বলেন, বাতাসী বেগম ঝড়ে আহত হয়ে নিজ বাড়িতে সোমবার ভোরে মারা গেছেন।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সদর, ফুলছড়ি, পলাশবাড়ী, সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ৮৬৯ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এর মধ্যে ভুট্টা ৮৩০ হেক্টর, বোরো ধান ২০ হেক্টর, কলা ১৬ হেক্টর ও সূর্যমুখী ৩ হেক্টর রয়েছে বলে তিনি জানান।

জেলা ত্রাণ অফিসের প্রধান সহকারী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঝড়ে ৪ হাজার ৩২৬টি ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের ১৫ হাজার ৮৬০ জন মানুষ। উপড়ে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি।

বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের জন্য জরিপ কাজ চলছে; দুয়েকদিনের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

গাইবান্ধা বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ-১ এর নিবাহী প্রকৌশলী মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, রোববার রাতে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে মেরামত কাজ চলছে। 

জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, নিহত ১২ জনের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা আর্থিক সহযোগিতার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে।