সোমবার প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়ল বৈঠকে ‘চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন,
২০২১’ এর প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে
এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত আইনে একজন
চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি পরিচালনা প্রশাসক বোর্ড থাকবে।
“বন্দরের ভাড়া ও টোল
আদায়ের বিষয়ে তফসিল তৈরি করে সরকারের কাছে অনুমোদন নিতে হবে। তবে ৫ হাজার টাকার কম
হলে অনুমোদন নিতে হবে না। বন্দরের উন্নয়ন সম্প্রসারণে একটি তহবিল রাখা হয়েছে এ আইনে।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব
বলেন, এ আইন লঙ্ঘন করলে বিভিন্ন অপরাধের ক্ষেত্রে এক মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা
এক লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ড দেওয়া যাবে।
কেউ বন্দরে দূষণ ঘটালে
সেক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ
সচিব বলেন, “পোর্টে কোনো জাহাজ থেকে স্বাস্থ্যহানী ঘটে- এমন কোনো বিষয় বা দ্রব্য মজুদ
করলে বা বন্দর দূষণ করলে এ শাস্তি হবে।”
সভায় ‘বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন আইন,
২০২১’ এর খসড়াতেও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ
ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন অ্যাক্ট ১৯৫৭ সর্বশেষ ২০০৮ সালে বাংলায় অনুবাদ করা হয়। সে আইনকে
আরো যুগোপযোগী করতে এ খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
আগে শুধু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ছিল, এখন অতি ক্ষুদ্র,
মাঝারি ও কারুশিল্পকেও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগের আইনে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল এক কোটি টাকা,
যা নতুন আইনে তিন হাজার কোটি টাকা করার কথা বলা হয়েছে। এ আইনে বিসিক সেবাধর্মী কাজও
করতে পারবে।
বিসিকের জমি দখল বা অবৈধ প্লট হস্তান্তর করলে ৬ মাস
থেকে ২ বছর কারাদণ্ড বা ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য প্রস্তাবিত আইনে
শিল্প উদ্যোক্তাদের ওয়ানস্পট সার্ভিস দেওয়ারও বিধান রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।