এক ওয়েবিনারে সোমবার এ সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে বলা হয়, দেশে ৪৩৫টি জর্দা কারখানা এবং ৪৮টি গুল কারখানার মধ্যে মোট ২১৮টি কর দিচ্ছে।
অন্যদিকে ২৯ জেলায় করজালের বাইরে থাকা ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদনকারীর এক তৃতীয়াংশের লাইসেন্স নেই।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর সহায়তায় এ গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল তুলে ধরেন গবেষক দলের প্রধান ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআরের সঙ্গে
এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে তামাকবিরোধী সংগঠন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, উবিনীগ, ভয়েস ও প্রজ্ঞা।
‘বাংলাদেশে করজালের বাইরে থাকা ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য
উৎপাদকদের কর না দেওয়ার বাধাগুলো’ শীর্ষক এ গবেষণায় দেখা গেছে, ৯১ শতাংশ উৎপাদনকারী যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া হাতে ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য উৎপাদন করেন। সাধারণত বাড়িতে বা ক্ষুদ্র পরিসরের কারখানায় এগুলো উৎপাদন করা হয়। এগুলোর মোট কেনাবেচার পরিমাণ
২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
স্বয়ংক্রিয় কর রিটার্ন ব্যবস্থার অনুপস্থিতি এবং নজরদারির অভাবে এ খাতের উৎপাদনকারীরা কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ পান বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।
এতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে এসব পণ্যে ব্যান্ডরোল ব্যবহার, অনিবন্ধিত কারখানাগুলোকে করজালের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।
ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটিএফকে বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর ও বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ড্রাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন সিটিএফকের রিসার্চ ডিরেক্টর মারিয়া জি. কারমোনা, সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামস ডিরেক্টর বন্দনা শাহ এবং এনবিআরের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর নেতারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য (মূসক নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা) জাকিয়া সুলতানা বলেন, “শুধু রাজস্ব নয়, জনস্বাস্থ্যের বিবেচনায় ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ব্যবহার কমলে স্বাস্থ্যখাতে খরচ কমে যাবে।”