পুলিশ বলছে, সরকারি
কর্মকর্তাদের সঙ্গে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে এই ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার
মো. আলিমুজ্জামান বলেন, “লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার
সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়।
“তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে
পড়ে স্থানীয়রা এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ
বিভিন্ন অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।”
পরে রাষ্ট্রীয় সম্পদ
রক্ষায় পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানান
তিনি।
সালথা
থানার ওসি আশিকুজ্জামান জানান, এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে
পুলিশ ফুকরা বাজারে যায়। সেখানে পুলিশের উপরে হামলা হলে এসআই মিজানুর রহমান মাথায় আঘাত
পান। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়েছে।
সালথার সহকারী কমিশনার
ভূমি মারুফা সুলতানা হিরামনি বলেন, “সরকার নির্দেশিত আদেশে রুটিন ওয়ার্কে বিভিন্ন বাজারে
গিয়েছিলাম। ফুকরা বাজারে সন্ধ্যার আগে যাওয়া হয়।
“বাজারে চায়ের দোকানে
লোকজনের জটলা দেখে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ সময় তাদের সঙ্গে
বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভকারীরা আমার অফিস, গাড়ি ও ইউএনও স্যারের
অফিস ভবন ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।”
সালথা উপজেলা পরিষদের
চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, তার বাসসহ বিভিন্ন অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে
জনতা।
“এ সময় উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তার গাড়ি ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা।”
তবে নগরকান্দা ও সালথা
সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান বলেন, “হামলাকারীরা কোনো সাধারণ জনতা ছিল
না, এদের পেছনে দুষ্টচক্রের ইন্ধন ছিল। যে কারণে সরকারি গাড়ি, অফিস-আদালতে হামলা চালানো
হয়েছে।”