তার নাম শাহেদ আহমদ। বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারি থানার মাদার্শা গ্রামে। আবুধাবির আলআইনে মোটর ওয়ার্কশপ ব্যবসা করেন তিনি।
শনিবার আবুধাবি এয়ারপোর্ট ডিউটি ফ্রি এর বিগ টিকেট র্যাফেল ড্রতে দশ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছেন শাহেদ আহমদ।
এ খবর যখন পেলেন তখনও তিনি তার ওয়ার্কশপে কাজ নিয়ে কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তিনি এখন মাল্টি মিলিয়নিয়ার একথা জানার পরও কাজ থেকে তার মনযোগ ছোটেনি, যদিও তখন রাত ভারি হচ্ছিল।
আবুধাবি ডিউটি ফ্রি কর্মকর্তারা যখন জ্যাকপট জয়ের সংবাদটা শাহেদকে দিতে যান তখন তিনি বলেন, “জেনে খুশি হয়েছি যে ১০ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছি। এটা আল্লাহর দান। কিন্তু দুঃখিত আমি এখন একটু ব্যস্ত। কাস্টমার দাঁড়িয়ে আছেন। ওদের দেখতে হবে।”
১৫ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসেন শাহেদ। অনেক পরিশ্রম ও উত্থানপতনের মধ্য দিয়ে ৪০ বছরের সাধনায় তিনি আজ গ্যারেজ মালিক। তাই তার ব্যবসাটা তার কাছে সবচেয়ে দামি।
‘৩৫ বছর ধরে আমি লটারির টিকেট কিনছি, কিন্তু এই প্রথম জিতলাম। এবার ডিউটি ফ্রির টিকেটটা আমি একাই কিনেছিলাম’- জানালেন তিন ছেলে ও এক মেয়ের পিতা শাহেদ। ছোট ছেলের বয়স ১৫, মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, অন্য দুই ছেলে পড়াশোনা শেষ করেছে।
বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা জেতার পর আপনি কি দেশে পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন? এ প্রশ্নের জবাবে শাহেদ বলেন, “না, আমি এখানেই থাকব, এখানেই এ অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ করব। পরিবারের সদস্যদের এদেশে নিয়ে আসব।”
২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন তিনি র্যাফেল ড্রয়ের প্রথম পুরস্কার বিজয়ী টিকেট (০০৮৩৩৫) কিনেছিলেন যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল। কথাগুলো বলতে বলতে তিনি বললেন, “সরি ভাই আমাকে আবার কাস্টমার দেখতে হবে। কাজকে সবসময় আমি অগ্রাধিকার দিই।” আর বলে লাইনটা কেটে দিলেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |