মঙ্গলবার দুপুরে ধানক্ষেত পরিদর্শন করে নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, পণ্ডিত গ্রামের ২৫০ কৃষকের ৪০০ বিঘা জমির ধান
নষ্ট হওয়ার ঘটনা সত্য।
তবে ধান নষ্টের কারণ তদন্ত করে খতিয়ে দেখার জন্য কৃষি বিভাগকে দায়িত্ব
দেওয়ার কথা জানিয়েছে তিনি বলেন, “তারা কারণ জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে কৃষকরা বলছেন, ঝড়ের সময় ইট ভাটার গরম বাতাস আসায় ধানে চিটা হয়েছে।
আর ভাটা ব্যবসায়ীদের দাবি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ধান চিটা হয়েছে।

নাটোর সদর উপজেলার পণ্ডিত গ্রামের ধান চাষি আলিম শেখ জানান, মঙ্গলবার সকালে
তিনি মাঠে এসে দেখেন তার তিন বিঘাসহ আশপাশের প্রায় ৪শ বিঘা জমির ধানের শীষ শুকিয়ে গেছে।
এতে কৃষকের প্রতি বিঘাতে ১৪ হাজার টাকা করে ক্ষতি হবে।
একই গ্রামের মিলন শেখ জানান, আগে কখনো এভাবে এ মাঠের ধান নষ্ট হয়নি।
“রোববার বিকেলে ঝড়ের সময় স্থানীয় দুটি ইটভাটা থেকে গরম হাওয়া চলে আসায়
সব ধান নষ্ট হয়েছে।”
চরপাড়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিন জানান, এ মাঠে তার তিন বিঘা জমিতে খাটো-১০
জাতের ধানের আবাদ আছে।
“রোববার ভাটা থেকে গরম গ্যাস ছেড়ে দেওয়ার আমার সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে। মঙ্গলবার
সকালে জমিতে এসে দেখি ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে। শীষে দানা নাই।”
তবে কৃষকদের দাবি প্রত্যাখান করে স্থানীয় এএইচসি নামের ইটভাটার মালিক আব্দুল্লাহ
আল মামুন বলেন, “রোববার সারা দেশের অনেক জায়গায় গরম ঝড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এতে অনেক জেলায়
এভাবে ধান নষ্ট হয়ে গেছে।”

তার ভাষ্য, গত রোববার তার ইট ভাটা থেকে গ্যাস ছাড়া হয়নি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সুব্রত সরকার জানান, এ ধরণের
ধান নষ্ট কথা দেশের অন্যান্য স্থান থেকেও পেয়েছেন।
“সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাঠে নামানো হয়েছে। তারা নমুনা সংগ্রহ করে দেখবেন
কী কারণে ধানের শীষ নষ্ট হয়েছে।”
ইটভাটার কারণে হলে ভাটার মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে। আর ঝড়ো
হাওয়ার কারণে হলে তা মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে
থাকবে বলেন তিনি।