শেফিল্ড শিল্ডে সোমবার নিউ সাউথ ওয়েলসের ড্যানিয়েল হিউজকে ওই ডেলিভারিতে বোল্ড করেন সোয়েপসন। এই ওপেনার তখন খেলছিলেন ১৬ রানে। সোয়েপসন আক্রমণে আসে অষ্টম ওভারে, বল তখনও যথেষ্টই নতুন। তার পরও টার্ন আদায় করতে সমস্যা হয়নি সোয়েপসনের।
ওভারের তৃতীয় বল সেটি। রাউন্ড দা উইকেটে করা ডেলিভারিতে বাঁহাতি হিউজের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে বল। সেখানে ক্ষত তেমন ছিল না। সোজা গেলে যে বলটি হতে পারত ওয়াইড, সেটিই বিশাল ও তীক্ষ্ন টার্ন করে ছোবল দেয় হিউজের লেগ স্টাম্পে। টার্ন ও গতিতে হতচকিত হিউজ তড়িঘড়ি ব্যাট নামালেও লাভ হয়নি। সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মাতেন সোয়েপসন।
সোয়েপসনের ডেলিভারির পর আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাবেক ক্রিকেটার, সংবাদকর্মী, ক্রিকেট অনুসারীদের অনেকেই এই ডেলিভারিতে মিল খুঁজে পান চন্দরপলকে বোল্ড করা ওয়ার্নের সেই ডেলিভারির।
১৯৯৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিডনি টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন চন্দরপল। রান করছিলেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। লাঞ্চের ঠিক আগে অসাধারণ সেই ডেলিভারি করেন ওয়ার্ন। বাঁহাতি চন্দরপলের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে তীক্ষ্ন গতিতে অনেক টার্ন করে বল চন্দরপলের পায়ে লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ৬৮ বলে ৭১ রানে আউট হন তিনি।
ওয়ার্নের ডেলিভারিটা অবশ্য টার্ন করেছিলেন উইকেটের ক্ষতস্থানে পড়ে। সোয়েপসনের কৃতিত্ব সেদিক থেকে একটু বেশি, ক্ষত লাগেনি তার।
পরে আরেকটি বিশাল টার্ন করা ডেলিভারিতে সোয়েপসন বোল্ড করে দেন লোয়ার অর্ডারে আরেক বাঁহাতি লাচলান হিয়ার্নকে।
চোট কাটিয়ে শেফিল্ড শিল্ডে এই বছরের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই এই ইনিংসে ৪ উইকেট নেন সোয়েপসন, ম্যাচে নেন ৬টি।