বাংলাদেশে থাকতে সরাসরি রাজনীতি করতেন না, তবে একটি বড় রাজনৈতিক দলের এক সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। ধরুন, তার নাম প্রিন্স। গুগল সার্চ করে আমাদের কোম্পানি, এমএলজি ইমিগ্রেশন, অর্থাৎ আমাকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
পরিবারসহ কানাডায় এসে পরবর্তীতে ‘রিফিউজি ক্লেইম’ করেছেন প্রিন্স। তার রিফিউজি আবেদনের বেসিস অব ক্লেইম (বিওসি) বা ভিত্তি হলো, ‘সরকার পরিবর্তনের কারণে ‘নতুন সরকারের কর্মীরা তাকে নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দিচ্ছিল’, নতুন সরকারের প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাননি।
১৮ মাস আগে আবেদন করলেও কেবল মাস খানেক আগে মামলার প্রথম শুনানি হয়েছে। শুনানিতে তার স্ত্রী এবং শিশুকন্যার আবেদন গৃহীত হয়েছে। কিন্তু, তার নিজের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত দেওয়া স্থগিত রেখে করে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। কেমন অদ্ভুত, তাই না?
যিনি মূল আবেদনকারী তার আবেদনের খবর নেই, আর ওদিকে, যে দুজন তার সহযোগী আবেদনকারী তাদেরগুলো পাশ হয়ে গেল!
ব্যাপারটা একটু অন্যরকম বলেই তা নিয়ে লেখা জরুরি মনে করছি যাতে অন্য যারা অনুরূপ পরিস্থিতিতে আছেন তারা অনাহুত সমস্যায় জড়িয়ে নিজের অভিবাসন সম্ভাবনা ঝুঁকিতে না ফেলেন।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র আমাকে ইমেইল করে এক ঘণ্টার একটি প্রাইভেট কনসালটেশন বুক করতে বললাম তাকে। তিনি তাই করলেন। প্রিন্স এ অবস্থায় তার করণীয় জানতে চাইছেন।
তিনি বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ঠিকাদারি কাজেও জড়িত ছিলেন। বাড়ি-গাড়িও করেছেন দেশে। বেশ স্বচ্ছলই ছিলেন তারা। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কও ছিল ভালো! তবে, (তার ভাষায়) স্ত্রী পারিবারিক কিছু বিষয়ে বাড়াবাড়ি করতেন বলে দেশে থাকতে মাঝেমাঝে তার গায়ে হাত তুলতেন।
বাংলাদেশে শিক্ষিত-অশিক্ষিত অনেক পরিবারেই এ কু-চর্চা আছে যদিও তা নারীরা নীরবে সয়ে যান। আলাপকালে তাদের অতি ব্যক্তিগত আরও অনেক বিষয়েও জানা গেল। ক্লায়েন্টের সমস্যা ভালোমতো বুঝতে তাদের গোপনীয় বা ব্যক্তিগত বিষয় না জেনে উপায়ও থাকে না।
রিফিউজি আবেদনের শুনানির তারিখ পড়তে দেরি হচ্ছিল বলে পরিবারটি অস্থিরতায় ভুগছিল, যা অস্বাভাবিক নয়। তবে, প্রিন্স সাহেবের স্ত্রীর (রাতি, ছদ্মনাম) অস্থিরতা বোধ করি একটু বেশিই ছিল। রিফিউজি আবেদনের সিদ্ধান্ত দ্রুত পেতে এরই মাঝে কেউ একজন তাকে খানিক বাঁকা পথও দেখিয়ে দিলেন। যিনি বা যারা এ বাঁকা পথ দেখিয়ে দিয়েছিলেন তাদের সাথে রাতি কিছু অতি গোপনীয় পারিবারিক বিষয় শেয়ার করেছিলেন। মানে, বাংলাদেশে থাকার সময়ে কারণে-অকারণে তার উপর স্বামী যে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন তা বলে দিয়েছিলেন। ফলে, প্রিন্স- এর উপর দীর্ঘদিন ধরেই ভেতরে ভেতরে ক্ষ্যাপা ছিলেন তার স্ত্রী, যা প্রিন্স আঁচ করতে পারেননি।
দেশে থাকতে প্রভাবশালী নেতার ডানহাত হিসেবে প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই প্রিন্সের মতো চলতেন প্রিন্স। ফলে, কানাডায় তথাকথিত ‘অড জব’ করার মতো দক্ষতা বা আগ্রহ তার নেই। তিনি চান একটা সাহেবি ধাঁচের বা, কর্মকর্তা গোছের চাকরি। কিন্তু, একজন নতুন অভিবাসী বা রিফিউজি আবেদনকারীর পক্ষে কানাডায় তেমন চাকরি জোগার সহজ নয়। দেশে বহুতল ভবন বানিয়ে ভাড়া দিয়ে এসেছেন, ঠিকাদারির দায়িত্বও দিয়ে এসেছেন ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে। তা থেকে খরচের টাকা কানাডায় আসে। তা দিয়েই পরিবারটি চলে।
আর ওদিকে, তার স্ত্রী কানাডায় পা রেখে স্থানীয় ওয়ালমার্টে শ্রমিকের কাজ নিয়ে নিলেন ঝটপট। এমনকি ঘণ্টায় এক ডলার বেশি আয়ের জন্য রাতের শিফটে কাজ করতেও দ্বিধা করলেন না রাতি। মাত্র এক বছরের মাথায় দক্ষ কর্মচারী হিসেবে সুনাম-সুখ্যাতিও অর্জন করলেন তিনি। অথচ, এই নারী দেশে থাকতে সেজেগুজে ঘরে বসে থেকে দুই-চারটা গৃহকর্মী শাসনের বাইরে তেমন কিছুই করেননি।
কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততা বাড়ার সাথে সাথে রাতি স্বামীকে ঘনিষ্ঠ সঙ্গ দেওয়া হতেও বিরত থাকতে লাগলেন। ধীরে ধীরে অবস্থা এমন দাঁড়ালো, বেকার প্রিন্স তাকে ছেড়ে গেলেই যেন তিনি এ যাত্রা বেঁচে যান। প্রিন্সের অভিযোগ, যে নারী দেশে থাকতে একসাথে রাতের খাবার খেতে মধ্যরাত অবধি স্বামীর অপেক্ষায় থাকতেন, যিনি ছিলেন একান্ত বাধ্যগত সংসারী, সে-ই তিনি আজ স্বামীকে না ডেকেই রাতের খাবার সেরে মোবাইল হাতে নিয়ে একাএকা শুয়ে পড়েন! অর্থনৈতিক স্বাধীনতা তাকে এতটাই বেপরোয়া করে তুলেছে। এভাবে দুজনের দৈহিক দূরত্বের সাথে মনের দূরত্বও বেড়ে চললো যোজন যোজন।
এক রাতে রাতি কাজ শেষে বাসায় ফিরলেন না। সকাল ৯টার দিকে যখন এলেন তখন তার বিধ্বস্ত শারীরিক-মানসিক অবস্থা দেখে প্রিন্স গভীর দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। কারণ জানতে চেয়েও কোনও সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে প্রিন্স রেগেমেগে অস্থির। এক পর্যায়ে কিছুটা ধস্তাধস্তিও হলো। তবে, তাকে শারীরিক কোনও আঘাত করেননি বলে আমাকে জানালেন প্রিন্স। কানাডায় স্ত্রী বা কারও গায়ে হাত তোলা গুরুতর অপরাধ তা ইতোমধ্যে প্রিন্স জেনে গিয়েছিলেন। তাই, অনেক কষ্টে তিনি তার স্ত্রীর আচরণের আকাশপাতাল পরিবর্তন মেনে নিচ্ছিলেন। তিক্ততা এড়াতে তিনি নিজে থেকেই আলাদা কক্ষে রাত যাপন শুরু করলেন একসময়। এভাবেই দিন চলছিল পরিবারটির।
প্রিন্স ভাবলেন, তিনি বেকার বলেই হয়তোবা তার স্ত্রী তার সাথে এমন আচরণ করেছেন। তাই, তিনিও এক পরিচিতের মাধ্যমে একটা গ্রোসারি স্টোরে (দোকান) চাকরি নিলেন। আশা ছিল, তাতে স্ত্রীর মনমানসিকতার পরিবর্তন হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, পরিস্থিতির বিন্দুমাত্র উন্নতিও হয়নি। প্রিন্সের ভাষায়- “রাতি আরো বেশি বেসামাল হয়ে পড়েছিল।”
প্রিন্স আমাকে অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রী শাড়ি-সেলোয়ার-কামিজ-ওড়না ছেড়ে কানাডিয়ান স্বল্প-পোশাকেও অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রাত গভীরে বাসায় ফিরলেও আবার আইফোনে কার সাথে যেন চ্যাট করতে শুরু করেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সংসারে মন নেই বলা চলে।
প্রিন্স একসময় জানতে পারলেন তার স্ত্রী ‘পরকীয়া’য় জড়িয়ে পড়েছেন পাকিস্তানি এক নাগরিকের সাথে। সেই পাকিস্তানি একই ওয়ালমার্টের স্টোর ম্যানেজার। মানে, রাতির বস।
একদিন ভোর রাতে প্রিন্স নয়তলার ফ্ল্যাট থেকে রাস্তার দিকে চোখ দিতেই দেখেন সে-ই পাকিস্তানি তার গাড়ি থেকে দৃশ্যত মদ্যপ রাতিকে বাহু ধরে নামিয়ে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে প্রিন্সের ইচ্ছে করছিল নয় তলা থেকে লাফ দিয়ে তাৎক্ষণিক আত্মাহুতি দিতে। তারপরও কোনভাবে নিজেকে সামলে নিলেন; রাগে-ক্ষোভে তার সারা শরীর থরথর কাঁপছিল যদিও।
কয়েক মিনিট পর রাতি টলতে টলতে বাসায় এসে পৌঁছুলে প্রিন্স দরজা খুলে দিলেন। বেড রুমে ঢুকেই গভীর ঘুমে প্রায় অচেতন হয়ে আছেন রাতি। ওদিকে, প্রিন্সও তাকে বিরক্ত না করে অন্য কক্ষে নিজের মতো করে শুয়ে পড়লেন।
পরদিন সকালে স্ত্রীর কাছে বিস্তারিত জানতে চাইতেই রাতি রেগে আগুন। প্রিন্সকে বিশ্রিসব গালমন্দও করতে লাগলেন। এ অবস্থায় প্রিন্স নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলেন না। বাঁ হাতে রাতির চুলের মুঠো শক্ত করে ধরে বাথরুমে টেনে নিয়ে গিয়ে টাওয়েল হ্যাঙ্গার দিয়ে বেদম মারধর করলেন।
প্রিন্সের অজান্তে বাথরুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে রাতি শরীরের বিভিন্ন স্থানে পড়ে যাওয়া দাগ ও জমাট রক্তের বেশকিছু ছবি তুলে রাখলেন। পরে সেই ছবি দেখিয়ে নানাভাবে প্রিন্সকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করলেন রাতি। তাছাড়া, কানাডার পুলিশকে এসব ছবি দেখিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেবেন ভয় দেখিয়ে পাকিস্তানি বয়ফ্রেন্ডকে প্রকাশ্যে বাসায় এনে তার সাথে ঘনিষ্ঠ সময়ও কাটাতে শুরু করলেন।
অবস্থা এমন, যেন খাঁচার বাঘ দীর্ঘকাল পর অরণ্যে ফিরে তার হিংস্রতা প্রকাশের সুযোগ পেল।
পাকিস্তানি ছেলে বন্ধুর সাথে পরামর্শ করে এক সময় রিফিউজি প্রটেকশন ডিভিশনেও স্বামী কর্তৃক মারধরে তার জীবন বিপন্ন হবার বিষয়টা জানিয়ে রাখলেন রাতি। প্রমাণ হিসেবে মারধরের ছবিগুলো যোগ করতেও ভুল করলেন না।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে ইমিগ্রেশন অফিস জরুরি শুনানির ব্যবস্থা করে স্পেশাল প্রটেকশনের জন্য প্রিন্সের স্ত্রী এবং শিশু কন্যার আবেদন অনুমোদন দিয়ে প্রিন্সের বিষয়টি ডিটেইল্ড ইনভেস্টিগেশনে পাঠিয়ে দিলেন। তার মানে, মূল আবেদনকারী, মানে প্রিন্সের আবেদনটা গেল ঝুলে।
ভুলটা হলো, প্রিন্স অনেকখানি সহ্য করলেও শেষতক নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। অর্থাৎ, স্ত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, কানাডায় যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের অপরাধে কানাডার আইনে একজন আসামীর দশ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। তবে, ঠিক কতটা সাজা হবে তা নির্ভর করছে ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়।
প্রিন্স মনে করছেন তাকে চরমভাবে উত্তেজিত করে মারমুখী করে তোলার উদ্দেশ্যে তার স্ত্রী হয়তো ইচ্ছে করেই সেদিন তেমন পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন।
তার ধারণা, এ পরিকল্পনায় পাকিস্তানিরও হাত রয়েছে। দৃশ্যত রিফিউজি মামলার শুনানি ত্বরান্বিত করে নিজের অনুকূলে দ্রুত রায় নিতেই রাতি তার সে-ই পাকিস্তানির পরামর্শে এ চালবাজি করেছেন বলেই প্রিন্সের দৃঢ় বিশ্বাস।
যেভাবেই হোক, নিজের পরিকল্পনায় রাতি শতভাগ সফল। দুৰ্ভাগ্যবশত এ কাহিনীর প্রিন্স সাহেবের মতো পরিবেশ পরিস্থিতিতে কেউ থাকলে তিনি বা তারা যেন এ ঘটনা হতে শিক্ষা নেন। কোনও অবস্থাতেই স্ত্রী, সন্তান বা অন্য কারও গায়ে হাত যেন না তোলেন।
এ ধরনের ভায়োলেন্স কানাডা একেবারেই সহ্য করে না। সম্ভবত এ কারণেই অনেকে বলে থাকেন, নারী ও শিশুদের জন্য কানাডা স্বর্গরাজ্য।
যাক, এ লেখা আর দীর্ঘ না করি। কানাডায় পড়াশোনা, বা ইমিগ্রেশন বিষয়ে কোনও বিশেষ প্রশ্ন থাকলে আমাকে নিচের ইমেইল ঠিকানায় জানাতে পারেন। পরের কোনও লেখায় আপনার আগ্রহের প্রতিফলন ঘটানোর প্রয়াস থাকবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান পর্বসহ এ সিরিজের অন্য পর্বগুলোতে কানাডা ইমিগ্রেশন বিষয়ে যে সাধারণ আলোচনা করা হয়েছে তা যেন কোনভাবেই লিগ্যাল অ্যাডভাইস বা আইনি পরামর্শ হিসেবে বিবেচনা করা না হয়। কারণ, সুনির্দিষ্ট আইনি পরামর্শ দেওয়া হয় ব্যক্তিগত সাক্ষাতে, সাধারণ আলোচনায় নয়। মনে রাখা দরকার, প্রত্যেকের ‘ইমিগ্রেশন কেইস’-ই কোনও না কোনওভাবে আলাদা।
এছাড়া, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এ নিয়মিত চোখ রাখুন কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে আমার নতুন নতুন লেখা পড়তে। ভবিষ্যতে আপনাদের সাথে আরও অনেক মূল্যবান তথ্য সহভাগের প্রত্যাশা নিয়ে আজ এখানেই শেষ করি।
লেখক: কানাডীয় ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট, আরসিআইসি।
ইমেইল: info@mlgimmigration.com; / ফেইসবুক: ML Gani
এ সিরিজের বাকি লেখা:
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০১: ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০২: চিকিৎসা বিদ্যার কদর এবং ভর্তির যোগ্যতা
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০৩: কনসালটেন্ট কতটা জরুরি?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৪: ‘স্কুলিং ভিসা’য় আপনি নিজেও কি কানাডায় যেতে পারেন?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৫: বয়স্করা কেন, কিভাবে কানাডায় পড়তে যাবেন?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৬: আপনার কানাডিয়ান জব অফার ঠিক আছে তো?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি- ০৭: বিয়ে করে কানাডা যেতে চান?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি-০৮: কানাডায় পড়াশোনার সিদ্ধান্ত নিতে কী কী বিবেচনায় রাখবেন?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ০৯: আপনি কি বাস্তবেই ‘কমন ল’ সম্পর্কে আছেন?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১০: আপনাকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১১: একজন কানাডিয়ান কাকে কানাডায় স্পনসর করতে পারেন, কাকে পারেন না?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১২: আপনি কি সরাসরি কানাডার সিটিজেন হবার আবেদন দাখিল করতে পারেন?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৩: কানাডার ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেটুকু না জানলেই নয়
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৪: দ্বৈত অভিপ্রায় নিয়ে কি কানাডায় যাওয়া যায়?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৫: কানাডা ভ্রমণ বা ইমিগ্রেশনে ভুল তথ্য উপস্থাপন কতটা মারাত্মক হতে পারে?
কানাডা অভিবাসনের টুকিটাকি ১৬: ইমিগ্রেশন কন্সাল্টেন্সির নামে একটি প্রতারণার কাহিনী